পাবনার ঈশ্বরদীতে শ্বশুর বাড়িতে এসে পুকুরে সাঁতার শিখতে গিয়ে মো. রানা মিয়া (২৫) নামের এক ফল ব্যবসায়ী এবং পুকুরে গোসল করতে নেমে আল আমিন (১২) নামে এক কিশোরসহ দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার মুলাডুলি ইউনিয়নের রামনাথপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত আল আমিন উপজেলার মুলাডুলি ইউনিয়নের রামনাথপুর গ্রামের মো. খায়রুল ইসলাম বাশারের ছেলে। একই দিন বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের খয়েরবাড়িয়া এলাকার মো. ফোরকান শেখের পুকুরে ডুবে রানা মিয়ার মৃত্যু হয়।
মৃত রানা মিয়া ঈশ্বরদী শহরের পূর্বটেংরী ঈদগাহ পাড়া (কেন্দ্রীয় গোরস্তান পাড়া) এলাকার মো. কাশেমের ছেলে। তিনি ঈশ্বরদী রেলগেট এলাকার ফল ব্যবসায়ী ছিলেন।
এলাকাবাসী ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার ( ২ মাচ) দুপুরে বন্ধুদের সঙ্গে গোসল করতে পুকুরে যান আল আমিন। এ সময় যাওয়ার পথে নতুন খননকৃত একটি পুকুর দেখে আচমকা আল আমিন লাফ দেন। পুকুরের গর্ত অনেক গভীর হওয়ায় আল আমিন গভীরে তলিয়ে যায়। এ সময় বন্ধুদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে পুকুর থেকে তাকে উদ্ধার করেন। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আল আমিনকে মৃত ঘোষণা করেন স্থানীয়রা।
অপর ঘটনায় একই দিন আসরের নামাজের পর বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে রানা তার শ্বশুর বাড়িতে আসেন। রানা সাঁতার না জানায় শ্যালককে সঙ্গে নিয়ে কলাগাছের সাহায্য নিয়ে পুকুরে সাঁতার শিখতে নামেন। কলা গাছ নিয়ে সাঁতার কাটতে কাটতে মাঝ পুকুরে গেলে হঠাৎ কলার গাছ হাত থেকে ফসকে রানা পুকুরে তলিয়ে যায়। এ সময় সঙ্গে থাকা শ্যালক এবং পুকুরপাড়ে দাঁড়িয়ে থাকা রানার স্ত্রীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে রানাকে পুকুর থেকে উদ্ধার করে দ্রুত ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা শেষে রানাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঈশ্বরদী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমরা খবর পেয়েছি। আমাদের ফোর্স হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। পরিবারকে মরদেহ বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। এসব বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। নিজের সন্তানকে দেখে রাখতে হবে।