ঢাকা ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

পরিবারকে ১৫ লাখ টাকা সহায়তা

বন কর্মকর্তা সাজ্জাদের স্ত্রীর কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নেয়া হবে: পরিবেশমন্ত্রী

বন কর্মকর্তা সাজ্জাদের স্ত্রীর কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নেয়া হবে: পরিবেশমন্ত্রী

বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, কক্সবাজারে দুষ্কৃতকারীদের মিনি ট্রাকচাপায় নিহত বন বিভাগের কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদুজ্জামানের হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতে কাজ করছে মন্ত্রণালয়।

তিনি বলেন, পাহাড় কর্তনকারীদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। একটা স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দায়ী সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। অতীতে সংঘটিত এ জাতীয় ঘটনারও বিচার হবে। আগামীতে যাতে এরকম কোনো ঘটনা না ঘটে তার জন্য একটা বিশেষ বার্তা দেওয়া হবে।

রবিবার মন্ত্রী মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ভিটিকান্দি গ্রামে পাহাড় খেকো চক্রের হাতে নিহত বন কর্মকর্তা সাজ্জাদুজ্জামানের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে চেক ও নগদ টাকা হস্তান্তর শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।

বন বিভাগের কর্মকর্তার পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এ ঘটনায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অবহিত করা হলে তিনিও শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, মো. সাজ্জাদুজ্জামানের অকাল মৃত্যুতে পরিবার যাতে আর্থিক সংকটে না পড়ে সেজন্য মাস্টার্স পাস তার স্ত্রীর কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নেওয়া হবে। মন্ত্রণালয় ও বন বিভাগ সব সময় তার পরিবারের পাশে থাকবে।

এ সময় মন্ত্রী নিহত বিট অফিসার মো. সাজ্জাদুজ্জামানের বাবাকে মন্ত্রণালয় ও বন বিভাগের পক্ষ হতে চেক ও নগদে মোট ১৫ লাখ টাকা হস্তান্তর করেন। পরে মন্ত্রী নিহত বিট অফিসারের কবর জেয়ারত করেন। মন্ত্রীর সঙ্গে প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী, উপ-প্রধান বন সংরক্ষক গোবিন্দ রায়, উপ-প্রধান বন সংরক্ষক মো. জাহিদুল কবির, মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (বন) আবু নইম মোহাম্মদ মারুফ খানসহ, বন সংরক্ষক আর এস এম মুনিরুল ইসলাম ও আব্দুল আউয়াল সরকারসহ মন্ত্রণালয়, বন বিভাগ, প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে ফরেস্টার হিসেবে বন বিভাগে যোগ দেন সাজ্জাদুজ্জামান সজল। দোছড়ি বনবিটে গত বছরের শেষ দিকে যোগ দেওয়ার পর থেকেই পাহাড় অধ্যুষিত উখিয়ায় পাহাড় ও বন রক্ষায় প্রায় প্রতিরাতেই অভিযান পরিচালনা করে আসছিলেন তিনি। গত তিন মাসে দুই ডজনের মতো ডাম্পট্রাক জব্দ করে মামলার আওতায় এনে রেঞ্জ অফিসে রেখেছেন তিনি। একরাতে চারটি মাটিভর্তি ডাম্পট্রাক জব্দের ঘটনাও আছে তার। এসব কারণে তার ওপর চরম ক্ষুব্ধ ছিল পাহাড়খেকো চক্র। যার ফলশ্রুতিতে তাকে গাড়িচাপায় হত্যার শিকার হতে হয়েছে বলে মনে করছেন তার সহকর্মীরা।

কক্সবাজার
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত