ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

আবাসিক ভবনের পাশে তাঁত ফ্যাক্টরি, শব্দ দুষনসহ নানা অভিযোগ

আবাসিক ভবনের পাশে তাঁত ফ্যাক্টরি, শব্দ দুষনসহ নানা অভিযোগ

পাবনার সাঁথিয়া পৌরসভাধীন ৬নং ওয়ার্ডে পিপুলিয়া গ্রামে তিনতলা আবাসিক ভবনের পাশে নিয়মবহির্ভূতভাবে চায়না পাওয়ারলোম তাতের ফ্যাক্টরি করে বসবাসের বিঘœ সৃষ্টির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে ওই আবাসিক ভবনের মালিক প্রবাসী দুলাল হোসেন ফ্যাক্টরির মালিক আলামিন হোসেনের বিরুদ্ধে পৌর মেয়রসহ পাবনা আদালতে অভিযোগ পিটিশন দায়ের করেন।

অভিযোগে জানা গেছে, একই গ্রামের আক্কাজ আলীর ছেলে আলামিন হোসেন আইনের তোয়াক্কা না করে বিধি বহির্ভূতভাবে উচ্চ শব্দ সৃষ্টিকারী চায়না পাওয়ারলোম তাতের ফ্যাক্টরি স্থাপন করেন। যার শব্দের কারনে বর্তমানে উক্ত পাশর্^বর্তী ভবনে বসবাস করা কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়েছে। ভুক্তভোগী প্রবাসী ৩/৪ বছর আগে থেকে উক্ত ভবনে শান্তিপূর্ণ ভাবে বসবাস করে আসছিলেন। তিনি আরও অভিযোগ করেন, আলামিন হোসেনের একই এলাকায় আরো ২/৩টি বাড়ি থাকা সত্তে¡ও বিদ্বেষপূর্বকভাবে বসত বাড়ির গা ঘেঁষে তাঁতের ফ্যাক্টরী স্থাপন করেন।

স্থানীয়ভাবে উক্ত ফ্যাক্টরি স্থাপনের বিষয় নিয়ে এলাকার বাসিন্দাদের সাথে কথা বললে তাঁরাও বিষয়টি আলামিনকে জানালেও এতে সে কোন কর্নপাত করেনি। পরবর্তীতে ভূক্তভোগী দুলাল হোসেন বাধ্য হয়ে ২০২৩ সালের ১৩ আগস্ট পৌর মেয়র বরাবর একটি অভিযোগ করেন। উক্ত অভিযোগ এর প্রেক্ষিতে কিছু দিন কার্যক্রম বন্ধ রাখলেও স্থানীয় প্রভাবশালী লোকজন এর প্রভাব খাটিয়ে পূনরায় কাজ শুরু করে। এ দিকে ভুক্তভোগীদেরকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে তারা। এমতাবস্থায় ভুক্তভোগী প্রবাসী দুলাল হোসেন এর পক্ষে গত ৫/৩/২০২৪ ইং তারিখে আব্দুল মুন্নাফ বাদী হয়ে, জেলা পাবনা বিজ্ঞ আদালতে, পিটিশন মামলা নাম্বার ১৭১/২০২৪ দায়ের করে, যা বর্তমানে সাঁথিয়া থানায় তদন্তাধীন রয়েছে।

এলাকাবাসী দ্বীন আমিন ও টুম্পা জানান, ওই ফ্যাক্টরীর পাশেই আমির বাসা। আমরা কিছু ছেলে মেয়েদের পড়াই্ কিন্তু ওই মেশিনের শব্দে পড়ানোর চরম সমস্যা। রাতে ঘুমাতেও পারি না চায়না মেশিনের শব্দে।

চায়না পাওয়ারলোম ফ্যাক্টরীর মালিক আলামিন জানান, আমি সবকিছু নিয়ম মেনে এখানে ফ্যাক্টরী করা হয়েছে।

এ বিষয়ে সাঁথিয়া পৌর মেয়র মাহবুবুল আলম বাচ্চু বলেন, বিভিন্ন প্রকার শর্ত পূরণসাপেক্ষে তাকে এনওসি দেয়া হয়েছে।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিফাতুল হক জানান, সব জায়গায়ই তো হচ্ছে। এসব নিয়ে তো মোবাইল কোর্ট কেউ করেছে কিনা জানিনা। বিষয়টি নিয়ে আমি আমার উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে আইনে যা হয় তা করবো।

সাঁথিয়া
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত