ফরিদগঞ্জে দুই শিশু সন্তানসহ মায়ের মরদেহ উদ্ধার 

প্রকাশ : ১০ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৩১ | অনলাইন সংস্করণ

  চাঁদপুর প্রতিনিধি

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ চরদু:খিয়া পশ্চিম ইউনিয়নে পূর্ব লাড়ুয়া গ্রামে স্বামীর পরকীয়া আছে সন্দেহ করে আরিফা (৪) ও আরিয়া (২) নামে দুই শিশু সন্তানকে হত্যা করে আত্মহত্যা করেছেন মা ফাতেমা আক্তার সীমা (২৫)।

মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) বিকেলে ওই গ্রামের রাঢ়ী বাড়ি থেকে মা ও দুই শিশুর মরদদেহ উদ্ধার করে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন ।

তিনি সাংবাদিকদেরকে জানান, খবর পেয়ে দুপুরে তারা ঘটনাস্থলে এসেছেন । প্রবাস ফেরত আরিফে দালান ঘরে এসে আমরা তার স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তান ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছি। ঘটনাটি  রহস্যজনক বলে মনে হয় কারণ তাদের আর্থিক অবস্থা সচ্ছল। দরিদ্র পরিবার মনে হয়নি। তাদের মধ্যে বন্ধন সুদৃঢ়। তার স্বামীর সাথে কথা বলে জানতে পেরেছি তার স্ত্রী স্বামী আরিফ পরকীয়া লিপ্ত আছে বলে সন্দেহ করত।

ওসি আরও বলেন,  আমাদের ধারণা পরকীয়া বিষয়টি কেন্দ্র করেই এই আত্মহত্যার ঘটনাটি হয়েছে । এ বিষয়ে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ এর জন্য সীমার স্বামী আরিফকে আটক করা হয়েছে।
প্রবাস ফেরত আরিফ রাড়ী বাড়ির সিরাজুল ইসলাম রাড়ীর ছেলে। 

নিহত সীমার পিতা পার্শ্ববর্তী হাইমচর উপজেলার আলগী গ্রামের বাসিন্দা মোস্তফা কোতোয়াল জানান, সামাজিকভাবে গত ছয় বছর পূর্বে আরিফের সাথে তার মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের পর আরিফ কর্মসংস্থানের জন্য দুবাইতে যান। গত একমাস পূর্বে বাড়িতে এসেছেন। তার মেয়ের সাথে কোন বিষয়ে ঝগড়া বিবাদ হয়েছে কিনা এমন কথা মেয়ে কখনো জানায়নি। সামাজিকভাবেই চার লাখ টাকার কাবিনের মাধ্যমে বিয়ে হয়।

এই ঘটনার সংবাদ পেয়ে সীমার মা শাহিনুর বেগম ও স্বজনরা ঘটনাস্থলে এসে কান্নায় ভেঙে পড়েন।

এ বিষয়ে বক্তব্যর জন্য আরিফে বাড়ির লোকজনের সাথে কথা বলতে চাইলে কেউই বক্তব্য দিতে রাজি হননি।

এদিকে এই ঘটনার পর পর ফরিদগঞ্জ থানার ওসি, ওসি তদন্ত, সেকেন্ড অফিসারসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের সামনেই নিহত সীমা ও আরিফের স্বজনদের মধ্যে লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা  ঘটে। এতে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়। কিছুক্ষণ পরে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে মোতায়ন করা হয়।