মানিকগঞ্জে চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে দুই ইউপি সদস্যের উপর হামলা
প্রকাশ : ১০ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৩৬ | অনলাইন সংস্করণ
দেওয়ান আবুল বাশার, মানিকগঞ্জ
আসন্ন উপজেলা পরিষদের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই ইউপি সদস্যের উপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বর্তমানে ভুক্তভোগীরা জেলা সদর হাসপাতালের সার্জারী ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছেন।
শিবালয় উপজেলার আরুয়া ইউনিয়নের কুষ্টিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছনে রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার সময় এ হামলার ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী দেলোয়ার হোসেন দুলাল আরুয়া ইউনিয়নের ৯নং এবং জয়নাল আবেদিন ৬নং ওয়ার্ড সদস্য।
জানা গেছে, রবিবার ইফতারের পর জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আব্দুর রহিম খানের পক্ষ থেকে আরুয়া ইউনিয়নে কিছু ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এর জের ধরে বিপক্ষ নির্বাচনী প্রার্থী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউর রহমান খান জানুর ভাতিজা ইউপি চেয়ারম্যান অনিকের নেতৃত্বে এ হামলার হয়।
হামলার শিকার ইউপি সদস্য দেলোয়ার হোসেন দুলাল বলেন, আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে আমাদের চেয়ারম্যান অনিকের পছন্দের প্রার্থীর বাহিরে কাজ করার জন্যই এ হামলা করেছে। তারা আমাদের মোবাইল ও মোটরসাইকেলও ভাঙচুর করেছে।
জয়নাল আবেদিন বলেন, রবিবার আমার ওয়ার্ডে রহিম খানের পক্ষ থেকে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করি। পরে ৯ নং ওয়ার্ড সদস্যসহ আমরা কয়েকজন নদীর পাড়ে বেড়াতে যাই। ফেরার পথে কুষ্টিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে পৌছালে চেয়ারম্যান অনিক এবং তার ভাই সুজনসহ বেশ কয়েকজন আমাদের মোটরসাইকেল থামাতে সিগন্যাল দেয়। তারা পরিচিত হওয়ায় আমরা সেখানে দাঁড়াই। চেয়ারম্যান অনিক আমার মাথার চুল ধরে রহিম খানের পক্ষে কাজ করা নিয়ে প্রশ্ন করে। আমাকে কথা বলার সুযোগ না দিয়েই তারা এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। একপর্যায়ে মাথায় কিছু একটা দিয়ে আঘাত করে। মাথাফেঁটে যখন প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ হচ্ছিল তখন আমি দিকবিদিকশুন্য দৌড় দেই।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মোনায়েম মুনতাকিম রহমান খান (অনিক) বলেন, ঘটনার সাথে আমি সম্পৃক্ত নই। মাদক নিয়ে তাদের মধ্যে ঝামেলা হয়ে মারামারি হয়েছে। নিজেরা মারামারি করে একই হাসপাতালে একসাথে পাশাপাশি বেডে ভর্তি থাকা এবং একসাথে চেয়ারম্যানকে হামলার জন্য দায়ী করা সম্ভব কি-না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন বিষয়টি আমি ভালো জানিনা। জেনে আপনাকে জানাবো।
শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ সরকার বলেন, শুনেছি আরুয়াতে হামলা হয়েছে। এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।