দেশের কোটি কোটি মানুষের সাথে দ্ধিমত পোষন করে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলায় প্রতিবছরের ন্যায় সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে সাদ্রা দরবার শরীফসহ জেলার প্রায় ৪৫ গ্রামে বুধবার (১০ এপ্রিল) ঈদুল ফিতর উদযাপন হবে।
মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় দরবার শরীফের পীরজাদা ড. বাকীবিল্লাহ মিশকাত চৌধুরী এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, শুধুমাত্র সৌদি আরব নয়, কোরআন ও হাদিসের আলোকে চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে আমরা রোজা পালন ও ঈদুল ফিতর উদযাপন করে থাকি। বুধবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপনে প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সকাল ৯টায় সাদ্রা মাজার কমপ্লেক্স মাঠে ঈদের নামাজ আদায় করা হবে। এই নামাজে ইমামতি করবেন পীরজাদা ড. বাকীবিল্লাহ মিশকাত চৌধুরী ।
তিনি আরও বলেন, আগাম রোজা ও দুই ঈদ পালনের প্রবর্তক মাওলানা ইসহাক (রহ.)। ১৯২৮ সাল থেকে সাদ্রা দরবার শরিফের পীর সৌদি আরবসহ আরব দেশসমূহের সঙ্গে মিল রেখে রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উদযাপনের নিয়ম চালু করেন।
এদিকে সাদ্রা দরবার শরীফের পীর শাইখ আরীফ চৌধুরী বলেন, বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় সাদ্রা হামিদিয়া ফাজিল মাদ্রাসা ঈদগা ময়দানে ঈদুল ফিতরের নামাজের জামায়াত অনুষ্ঠিত হবে। এই জামায়াতে ইমামতি করবেন পীর শাইখ আরীফ চৌধুরী ।
স্থানীয় ইউপি সদস্য শফিকুর রহমান বলেন, সমেশপুর কেন্দ্রীয় ঈদগা মাঠে ৯টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। স্থানীয় মসজিদের ইমাম সেখানে ইমামতি করবেন। ফরিদগঞ্জের টোরা মুন্সিরহাট জামে মসজিদে ঈদের জামায়াত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়। এতে ইমামতি করবেন মাওলানা আকরাম হোসেন।
যেসব গ্রামে উদযাপন হচ্ছে ঈদুল ফিতর: হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা, সমেশপুর, অলিপুর, বলাখাল, মনিহার, প্রতাপুর, বাসারা, ফরিদগঞ্জ উপজেলার ল²ীপুর, কামতা, গল্লাক, ভুলাচোঁ, সোনাচোঁ, উভারামপুর, উটতলি, মুন্সিরহাট, কাইতাড়া, মূলপাড়া, বদরপুর, আইটপাড়া, সুরঙ্গচাইল, বালিথুবা, পাইকপাড়া, নূরপুর, সাচনমেঘ, শোল্লা, হাঁসা, গোবিন্দপুর, মতলব উপজেলার দশানী, মোহনপুর, পাঁচানী এবং কচুয়া ও শাহরাস্তি উপজেলার কয়েকটি গ্রামসহ প্রায় ৪৫টি স্থানে।