ঈদের আগের দিন ফাঁকা ঢাকার মহাসড়কগুলো
প্রকাশ : ১০ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:০২ | অনলাইন সংস্করণ
আশুলিয়া প্রতিনিধি
আগামীকাল মুসলমানদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদ উল ফিতর। পরিবারের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে এরই মধ্যে শিল্পাঞ্চল আশুলিয়া ছেড়েছেন অধিকাংশ মানুষজন। গতকাল মঙ্গলবার মহাসড়কে যানবাহন ও মানুষের চাঁপ থাকলেও আজ মহাসড়কে নেই তেমন কোন পরিবহন৷ তবে তুলনামূলকভাবে পরিবহন সামান্য কিছু দেখা গেলেও ঈদের আগের দিন নবীননগর-চন্দ্রা মহাসড়ক, বাইপাইল-আবদুল্লাহপুর মহাসড়ক ও ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক রয়েছে ফাঁকা। যার ফলে আজও কোনো ভোগান্তি ছাড়াই স্বস্তি নিয়ে বাড়ি যাচ্ছেন ঈদে ঘরমুখো মানুষজন।
বুধবার (১০ এপ্রিল) সকাল থেকে নবীননগর-চন্দ্রা মহাসড়ক, বাইপাইল-আবদুল্লাহপুর মহাসড়ক ও ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। ঈদের আগের দিনে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে নেই যানবাহনের চাপ। গত ২দিনে মহাসড়কে ছিল দীর্ঘ যানযট। ছিল যানবাহনের চাপও। কিন্তু ঈদের আগের দিনে উত্তরের পথে দেখা গেছে তার উল্টো চিত্র। সকাল থেকে মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট গুলো ঘুরে একই চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিনে আশুলিয়ার বাইপাইল মোড়ে গিয়ে দেখা যায়, বাইপাইল-আবদুল্লাহপুর ও নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের বাইপাইল মোড় হয়ে উত্তরবঙ্গের প্রায় ১৯ জেলার মানুষ এ মহাসড়ক দিয়ে চলাচল করে। তবে গত দুইদিনে মহাসড়কে যানবাহনের চাঁপ ও মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হলেও আজ মহাসড়ক রয়েছে ফাঁকা। বাইপাইল কাউন্টারে গাড়ী অপেক্ষমান থাকলেও যাত্রী তেমন নেই। তবে কিছু কিছু মানুষ এখনো বাড়ি যাচ্ছেন।
এদিকে, গেল দুই দিন মহাসড়কে যানবাহনের চলাচল স্বাভাবিক রাখতে অনেকটা হিমশিম খেতে হয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের। তবে অন্য যেকোন বারের তুলনায় এবারের ঈদ যাত্রা নিরাপদ ও কোন রকম ভোগান্তি ছাড়াই হয়েছে বলে দাবী সাভার হাইওয়ে পুলিশের। আর পুলিশের নানা কৌশলের কারণেই এবারে ঈদ যাত্র স্বস্তিতে হয়েছে।
তবে গতকাল মঙ্গলবার চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছিল উত্তরবঙ্গের ঘরমুখো মানুষদের। ঘণ্টার পর ঘণ্টা মহাসড়কেই প্রচণ্ড রোদের মধ্যে যানজটের কবলে পড়েতে হয়েছিল। তবে আজকের চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। মহাসড়কে নেই অতিরিক্ত অওরিবহন, নেই যাত্রীর চাঁপও।
রফিকুল ইসলাম নামের এক পোশাক শ্রমিক পরিবারের সাথে ঈদ করতে আজ বাড়ি যাচ্ছেন। তিনি জানান, গতকাল অতিরিক্ত মানুষজন থাকায় এবং পরিবহণ না পাওয়ায় তিনি বাড়ি যাননি। তবে আজ রাস্তাও ফাঁকা আর গাড়িও আছে পর্যাপ্ত, তাই আজ বাড়ি যাচ্ছেন তিনি।
শারমিন আক্তার নামের এক নারী পোশাক শ্রমিক জানান, তার গ্রামের বাড়ি জামালপুরে। বুধবারে ঈদ হবে এই টার্গেটে এবং সব প্রতিষ্ঠান আগেই ছুটি হয়ে যাওয়ায় মানুষ আগে থেকেই বাড়িতে যাওয়া শুরু করেছিল। তাই চাঁপ ছিল বেশি। যাওয়া হয়নি। কিন্তু আজ স্বাচ্ছন্দ্যে বাড়িব্যাওয়া যাচ্ছে।
এদিকে, বুধবার ঈদ হবে এমন পরিস্থিতিতে আশুলিয়ার শিল্প কারখানাগুলো আগেই ছুটি হয়। তাই মঙ্গলবার গার্মেন্টসের লোকজনসহ অন্যান্যরা একসঙ্গে রওনা হওয়ায় মহাসড়কে চাঁপ বেড়ে যায়। তবে আজকে তেমন মানুষ বাড়ি যাওয়ার নেই। যারা যাওয়ার তারা চলে গেছেন। ফলে মহাসড়কে তেমন পরিবহন নেই। একদম ফাঁকা মহাসড়ক।
অন্যদিকে, ভারি পরিবহন মহাসড়কে তেমন না থাকলেও স্থানীয় কিছু পরিবহন চলাচল করছে। সেই সাথে ব্যটারি চালিত অটোরিকশা চলাচল করছে স্বাভাবিক।
সাভার হাইওয়ে থানার ওসি আইয়ুব আলী জানান, আমরা এখনো সড়কে রয়েছি, সড়কে কোন যানবাহন নেই। এবারের ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্নে ও স্বাভাবিক হয়েছে। কোন যানজট ছাড়াই এবারে মানুষ বাড়ি গিয়েছে। এবার যাত্রীদের এবং মহাসড়কে সার্বিক নিরাপত্তা ও পর্বেক্ষণের জন্য সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। সেই সাথে ড্রোনের মাধ্যমেও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে পুলিশের নানা কৌশলের কারণে এবারের ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হয়েছে।