বৃহস্পতিবার ঈদ

শেষ বেলায় ঘরমুখো মানুষের ঢল, লঞ্চে ধারণক্ষমতার অধিক যাত্রী বহন

প্রকাশ : ১০ এপ্রিল ২০২৪, ২২:২০ | অনলাইন সংস্করণ

  শওকত আলী, চাঁদপুর

চাঁদপুর থেকে রাজধানীমুখী ঢাকার দিকে, ঢাকা থেকে চাঁদপুরের দিকে ও নারায়নগঞ্জের লঞ্চ গুলো ধারন ক্ষমতার কয়েকগুন  যাত্রী নিয়ে ঢাকা, চাঁদপুর নৌ-টার্মিনাল ত্যাগ করতে দেখা যাচ্ছে। 

এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃকক্ষের নীরব ভুমিকা রয়েছে। ঈদের আনন্দ স্বজন-প্রিয়জনের সঙ্গে ভাগ করে নিতে ঘরমুখো মানুষের চাপ বেড়ে চলছে।

পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করতে ঘরমূখো মানুষেরা তাদের কর্মস্থলে থেকে চাঁদপুর লঞ্চঘাটে, রাজধানীমুখী ও চাঁদপুর মূখী যাত্রীদের চাপ বেড়েছে কয়েক গুন। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সিডিউলের লঞ্চগুলো পর্যাপ্ত সংখ্যক ধারন ক্ষমতার কয়েকগুন যাত্রী নিয়ে সদরঘাটের উদ্দেশ্যে চাঁদপুর লঞ্চঘাট ও ঢাকা থেকে যাত্রী বোঝাই করে জীবনের দিক বিবেচনা না করে,জীবনের নিরাপত্তার দিকটা মাথায় না’নিয়ে চাঁদপুর ও ঢাকা ত্যাগ করছে। 

চাঁদপুর-ঢাকা, চাঁদপুর-নারায়নগঞ্জের মধ্যে চলাচলকারী নিয়মিত লঞ্চ ছাড়াও যাত্রীদের সুবিধার্থে অতিরিক্ত লঞ্চের ব্যবস্থা রেখেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। যাত্রীদের সার্বিক নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে প্রশাসন।

বুধবার (১০এপ্রিল) দুপুরের পর চাঁদপুর লঞ্চঘাটে গিয়ে দেখা গেছে জেলার ৮ উপজেলা, ল²ীপুর, নোয়াখালী, ট্রলারে আসা শরীয়তপুরের অসংখ্যক যাত্রী ঘাটের পন্টুনে অবস্থান করছে। তাদেরকে নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে প্রশাসন, নৌ-পুলিশ, কোস্টগার্ড ও বিআইডাবিøউটিএর কর্মকর্তাগণ।

রায়পুর থেকে আসা ঢাকাগামী যাত্রী রায়হান বলেন, ঈদুল ফিতর উদযাপন করার জন্য বাড়িতে যাচ্ছি। পরিবারের সাথে ঈদের সময়টা ভাল কাটবে। ঈদ পালন করে কর্মস্থলে নিরাপদে যাওয়ার চিন্তায় আছি। 

হাজীগঞ্জ উপজেলার আরেক যাত্রী মোহাইমিনুল ইসলাম বলেন, করোনার কারণে গত দুবছর ঈদে বাড়িতে আসতে পারেনি। এ বছর ঈদ করতে বাড়িতে যাচ্ছি। স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে বাবা-মার সাথে অনেক আনন্দ করবো। বিশেষ করে শিশুরা বাড়িতে গেলে খুবই মজা করে। ঈদ পারন শেষে কর্মস্থলে ভালভাবে যাওয়ার প্রত্যাশা করছি।

চাঁদপুর লঞ্চঘাটে দায়িত্বর বিআইডাবিøউটিএর ট্রাফিক পরিদর্শক শাহ আলম বলেন,  মঙ্গলবার থেকেই  যাত্রীদের ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ঈদের সরকারি ছুটি শুরুর দু’দিন আগ থেকেই ভিড় বাড়তে থাকে। 

চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান বলেন, মঙ্গলবার থেকেই ঢাকাগামী যাত্রীদের চাপ বাড়তে শুরু করেছে। লঞ্চঘাটে আমাদের পুলিশ সদস্যরা নিয়মিত দায়িত্ব পালন করছে। এখন পর্যন্ত খুবই শান্তি শৃঙখলার মধ্যে যাত্রীরা যেতে পারছে।

চাঁদপুর বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা বলেন, ঈদুল ফিতর উদযাপন উপলক্ষে যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। বিআইডাবিøউটিএ, প্রশাসন, নৌ-পুলিশ, কোস্টগার্ডের সমন্বয়ে গঠিত কমিটি যাত্রীদের নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। আমাদের পর্যাপ্ত সংখ্যক লঞ্চ রয়েছে। যাত্রী সাধারণের উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই। তবে কিছু যাত্রী সাধারণের অসহযোগিতার কারণে ব্যবস্থাপনায় কিছুটা বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। তারা আমাদেরকে সহযোগিতা করলে তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে কোন ধরণের সমস্যাই হবে না বলে মনে করি।

তিনি আরো বলেন, সোমবার ভোর থেকে বিকেল পর্যন্ত চাঁদপুর ও  সদরঘাট নৌ-টমিনাল থেকে ১৬টি লঞ্চ যাতায়ত করছে। নারায়নগঞ্জের মধ্যে গেছে ১০টি লঞ্চ চলাচল করছে। মধ্যরাত পর্যন্ত লঞ্চ আসা ও যাওয়া অব্যাহত গতিতে চলবে। এখানে সার্বক্ষনিক সকল ব্যবস্থা গ্রহন করা আছে। প্রশাসনও তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছে। 
পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে বরিশাল অঞ্চলগামী লঞ্চগুলোতে যাত্রী কমায় ঘাটের চেনা রূপ অনেকটাই হারিয়েছিল। তবে ঈদের ছুটির সঙ্গে সঙ্গে ফিরেছে পূর্বের সেই চেনা ভীড়।