পদ্মা সেতুর উপরে দ্রুতগতির মোটরসাইকেলের ধাক্কায় এক মাইক্রোবাস চালক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক ও তার স্ত্রী সহ দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে সেতুর মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তের ১১ ও ১২ নাম্বার পিলারের মাঝামাঝি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,সকালে মুন্সিগঞ্জ সদরের সিপাহীপাড়া এলাকা থেকে যাত্রী নিয়ে একটি মাইক্রোবাস গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে যাওয়ার পথে পদ্মা সেতুর উপরে হঠাৎই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে মাইক্রো বাসটির পিছনের চাকার।
পরে মাইক্রো বাস চালক গাড়ি থেকে নেমে চাকা মেরামতের চেষ্টা চালায়,এ সময় পেছন থেকে এসে দ্রুতগতির একটি মোটরসাইকেল ধাক্কা দিলে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হয় মাইক্রোবাস চালক মোহাম্মদ তৈয়ব আলী (৩৪)।
এরপর তাৎক্ষণিক খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে অভিযুক্ত মোটরসাইকেল চালক আজমীর হোসেন (২৮) ও তার স্ত্রী শ্রাবণী ইসলাম (২৭) সহ দুজনকে আটক করেছে পুলিশ ও সেতু নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা নিয়োজিত কর্মীরা।
নিহত তৈয়ব আলী গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী থানার বাগিয়া এলাকার মোঃ বেলায়েত শেখের ছেলে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে,মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর এএসএম জিয়াউল হায়দার জানান, এঘটনায় মোটরসাইকেল সহ দুজনকে আটক করেছে পদ্মা সেতু উত্তর থানা পুলিশের সদস্যরা। এছাড়া নিহতের মরদেহ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে,আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহটি নিহতের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। মূলত মোটরসাইকেলের দ্রুতগতির কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ। এছাড়া দুর্ঘটনার কারণ ও পরিস্থিতি সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পর্যবেক্ষণ করেছে সেতু কর্তৃপক্ষ।
এদিকে পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তের টোল ম্যানেজার আহামেদ হক জানান,দুর্ঘটনার পরে সেতুর ওপরে ঘটনাস্থল থেকে মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেল সহ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে সরিয়ে নিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় সেতুতে যানবাহন চলাচলে কোন বিঘ্নতা ঘটেনি,বর্তমানে যানবাহন চলাচল পুরোপুরি স্বাভাবিক রয়েছে।এছাড়া সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দুর্ঘটনা কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।