ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সিরাজগঞ্জে মাদ্রাসা ছাত্রকে পানিতে চুবিয়ে হত্যার দায় স্বীকার

সিরাজগঞ্জে মাদ্রাসা ছাত্রকে পানিতে চুবিয়ে হত্যার দায় স্বীকার

সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার সেই ঝুরঝুরি বাজার এলাকার সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার হওয়া মাদ্রাসা ছাত্র মারুফ হাসান (১২) হত্যার দায় স্বীকার করে বর্ণনা দিয়েছে গ্রেফতারকৃত কলেজ ছাত্র কাওসার হোসেন (১৯)। সে ঝুরঝুরি গ্রামের সাইদুর রহমানের ছেলে ও সিরাজগঞ্জ পলিটেকনিক স্কুল এ্যান্ড কলেজের ছাত্র।

পুলিশের কাছে হত্যাকান্ডের লোমহর্ষক বর্ণনা দেয়ার পর ১২ এপ্রিল শুক্রবার বিকেলে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে ওই কলেজ ছাত্র।

সিরাজগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার (উল্লাপাড়া ও তাড়াশ সার্কেল) অমৃত সূত্রধর এ তথ্য নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের জানান, হত্যাকারী কাওসার ও নিহত মারুফ সম্পর্কে চাচাতো ভাই। ৫ এপ্রিল জুমার নামাজ শেষে কৌশলে মারুফকে অপহরণ করে ঝুরঝুরি বাজার এলাকার পুকুরের পানিতে চুবিয়ে হত্যার লোমহর্ষক বর্ণনা দেয় আদালতে। এ হত্যার পর মারুফ হাসানের লাশ ওই মার্কেটের সেপটিক ট্যাংকের ভিতরে লুকিয়ে রাখা হয়। ওই আসামি তার বাবার কাছে বাইক কেনার টাকা চায়। কিন্তু তার বাবা টাকা দিবে না এমনটি ভেবেই সে নিজেই মারুফকে অপহরণ ও হত্যার পরিকল্পনা করে। এরপর একাই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে বলে আসামি তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জানায় এবং এ জবানবন্দির পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, শুক্রবার মারুফ নিখোঁজ হলে তার বাবা মোশারফ হোসেন সংশ্লিষ্ট থানায় জিডি করেন। এ জিডির পর অপহৃত ওই মাদ্রাসা ছাত্রকে উদ্ধারে অভিযানে নামে র‌্যাব-১২ সদস্যরা। এক পর্যায়ে অপহরণের সন্দেহে ৫ জনকে আটক করা হয় এবং ঈদের দিন বৃহস্পতিবার ভোরে ওই বাজারের তালুকদার মার্কেটের পিছনে সেপটিক ট্যাংকের ভিতর থেকে ওই মাদ্রাসা ছাত্রের লাশ উদ্ধার করে র‌্যাব। এদিকে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার পর কাওসার হোসেনকে একমাত্র আসামি করে নিহতের বাবা বাদী হয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন এবং এ ঘটনায় সন্দেহজনক আটক অপর ৪ জন জড়িত না থাকায় তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে। ওই মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই আব্দুস সালাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ।

সিরাজগঞ্জ
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত