ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সীমান্ত পরিস্থিতিতে সর্বোচ্চ সর্তক কোস্টগার্ড : কোস্টগার্ডের মহাপরিচালক

সীমান্ত পরিস্থিতিতে সর্বোচ্চ সর্তক কোস্টগার্ড : কোস্টগার্ডের মহাপরিচালক

মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘাতময় পরিস্থিতি মোকাবেলায় কোস্টগার্ড সর্বোচ্চ সর্তকাবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের মহাপরিচালক রিয়ার এডমিরাল মীর এরশাদ আলী।

তিনি বলেন, মিয়ানমারের সংঘাতের কারণে ওই দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির স্বাভাবিকভাবে অবনতি হয়েছে। যেখানে থাকা দূর্বৃত্তরা এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে মাদক চোরাচালন, অবৈধ অনুপ্রবেশের তৎপরতা বাড়াবে এটা স্বাভাবিক। ফলে সব কিছুর বিবেচনায় কোস্টগার্ড তাদের নির্ধারিত এলাকায় সর্বোচ্চ সর্তক অবস্থানে রয়েছে। এর জন্য কোস্টগার্ড তাদের জনবল বৃদ্ধি, জল যান বৃদ্ধি সহ টহল ও নজরধারী বাড়িয়েছে। এ পরিস্থিতিতে কোন প্রকার অবৈধ অনুপ্রবেশ করতে দেয়া হবে না।

রবিবার টেকনাফের সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের মহাপরিচালক রিয়ার এডমিরাল মীর এরশাদ আলী গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন।

সকালে টেকনাফ পৌঁছার পর নাফনদী দিয়ে সীমান্ত ঘুরে দেখেন কোস্টগার্ড প্রধান কথা বলে কোস্টগার্ডের সংশ্লিষ্টদের সাথে। এরপর টেকনাফের কেরুণতলী এলাকার ঘাটে ফিরে কথা বলেন গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে।

এসময় তিনি বলেন, সীমান্তে বিজিবি দায়িত্ব পালন করছেন। বিজিবির সাথে কোস্টগার্ড, পুলিশ, র‌্যাব সহ অন্যান্য বাহিনীও রয়েছে। কোস্টগার্ড সদস্যরা মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ অস্থিরতায় বাংলাদেশের উপকূলবর্তী সীমানায় সবোর্চ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। ইতিমধ্যে মিয়ানমারের বিজিপির ১৩ সদস্যকে অস্ত্র সহ আত্মসমর্পন করিয়ে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করেছে। তাদের নিয়মিত প্রক্রিয়ায় ফেরত পাঠানোর কাজ চলছে। এর বাইরে অবৈধ অনুপ্রবেশের চেষ্টাকারি অনেকেই আটকে দিয়ে ফেরত পাঠানো হয়েছে। কোন ভাবেই অবৈধ অনুপ্রবেশ করতে দেয়া হবে না।

সীমান্ত পরিদর্শনটি নিয়মিত প্রক্রিয়ার অংশ মন্তব্য করে তিনি বলেন, কোস্টগার্ডের যে সব স্টেশন রয়েছে যেখানে প্রধান হিসেবে নিয়মিত পরিদর্শন এবং দায়িত্বরতদে সাথে আলাপ করে তাদের মনোবল বৃদ্ধি করার কাজটি করা হয়। এটিও তা। এর মধ্যে মিয়ানমারের সংঘাতময় পরিস্থিতি বিবেচনা করে সকল ধরণের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নাফ নদীতে ২৪ ঘন্টা নিরাপত্তা টহল অব্যাহত রেখেছে কোস্ট গার্ড। তাদের সাথে আলাপ করে আরও নজরধারী বাড়ানোর জন্য এই পরিদর্শন।

মিয়ানমারের জলসীমায় বিভিন্ন সময় জাহাজ দেখার বিষয়টি স্বাভাবিক বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, আগেও তাদের জলসীমায় তাদের বাহিনীর জাহাজ ছিল। এখনও আছে। ওটা তাদের বিষয়। আমাদের জলসীমায়ও আমাদের নৌ বাহিনীর জাহাজ ছাড়া কোস্টগার্ডের একটি জাহাজ রয়েছে।

এক প্রশ্নের উত্তরে কোস্টগার্ড প্রধান বলেন, কোস্টিগার্ড তাদের নির্ধারিত এলাকায় দেশের কল্যাণে সর্বোচ্চ ত্যাগ করে দায়িত্ব পালনে প্রস্তুত রয়েছে, থাকবে।

মিয়ানমার
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত