কক্সবাজারের টেকনাফের পাহাড় কেন্দ্রিক অপহরণের ঘটনা এক মাস বন্ধ থেকে আবারও শুরু হয়েছে। এবার এক পল্লী চিকিৎসকসহ দুজনকে অপহরণ করা হয়েছে। অপহৃতদের পরিবারের কাছে ৬ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে অপহরণকারীরা।
রবিবার (২১ এপ্রিল) রাত ৯টায় টেকনাফের বাহারছড়া শামলাপুর হোয়াইক্যং সড়কে অপহরণের এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত) (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গণি।
অপহৃত পল্লী চিকিৎসক জহির উদ্দিন উখিয়ার থাইংখালী এলাকার মাওলানা জাকের হোসেনের ছেলে। অপরজনের নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
অপহরণের শিকার জহির উদ্দিনের ছোট ভাই সাংবাদিক কমরুদ্দিন মুকুল জানিয়েছেন, তার ভাই শাপলাপুর এলাকায় প্রতিদিনের মতো চেম্বার শেষ সিএনজিচালিত অটোরিকশা চড়ে বাড়ি ফিরছিলেন। তার সঙ্গে একজন যাত্রীও ছিলেন। পথিমধ্যে শামলাপুর-হোয়াইক্যং সড়কে আসলে তাদের অস্ত্রের মুখে ২ জনকে জিম্মি করে পাহাড়ের দিকে নিয়ে যায়। পরে অটোরিকশার ড্রাইভার বিষয়টি পরিবারকে জানায়। এরপর থেকে অপহরণকারীরা মোবাইলে ৬ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করছে।
টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ ওসমান গনি বলেন, অপহরণের বিষয়ে খবর পেয়েছি। তাদের উদ্ধারের পুলিশের একাধিক টিম অভিযান শুরু করেছে। পরিবারের পক্ষে মুক্তিপণ দাবির বিষয়টিও জানানো হয়েছে।
গত এক মাস ধরে টেকনাফের পাহাড় কেন্দ্রিক অপহরণের ঘটনা বন্ধ ছিল। এর আগে গত ২০২৩ সালের মার্চ থেকে ২০২৪ সালের এ পর্যন্ত টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১২০ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৬২ জন স্থানীয় বাসিন্দা, বাকিরা মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিক। অপহরণের শিকার পরিবারের তথ্য বলছে, অপহৃতদের মধ্যে অন্তত ৫৩ জন মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেয়েছে।