কয়েকদিন ধরেই তীব্র গরমের তাপমাত্রার পারদ ৪২ থেকে ৪৩ ডিগ্রিতে উঠানামা করছে। রবিবার (২৮এপ্রিল) দুপুরের দিকে হঠাৎ করেই মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় গরমের তীব্রতা বেড়ে গেছে। এতে জনজীবনে হাঁসফাঁস নেমে এসেছে। হাসপাতালে শিশুসহ নানা বয়সী রোগীর চাপ বেড়ে গেছে। কর্মহীন হয়ে পড়েছে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ। মানুষ গরম থেকে বাঁচতে বারবার গোসল করছে, খাচ্ছে ঠান্ডা শরবত ও পানি। ফসলের মাঠ শুকিয়ে চৌচির হয়ে গেছে। এদিকে ঘনঘন রাত ও দিনে লোডশেডিংয়ের কারণে জনজীবন আরো বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
সাটুরিয়া উপজেলার নয়াপাড়া এলাকার কৃষক শাহবুদ্দিন উদ্দিন বলেন, দাবদাহে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। ধানক্ষেতে বারবার সেচ দিতে হচ্ছে। ফলে সেচে ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। তীব্র দাবদাহের কারণে নতুন করে ভুট্টার আবাদ করা যাচ্ছে না, প্রচন্ড গরমের কারণে কাটা যাচ্ছে না পাকা নতুন ধান।
রিকশাচালক মনু মিয়া বলেন, গরমের তীব্রতার কারণে যাত্রী আসা-যাওয়া কমে গেছে। বেশির ভাগ মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। আমরা কর্মহীন হয়ে পড়েছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, তাপদাহে ফসলে মাঠ শুকিয়ে যাচ্ছে। কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে ধানক্ষেতে বারবার সেচ দেয়ার অনুরোধ করা হচ্ছে।
সাটুরিয়া পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের উপ-মহা ব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো: মামুন-অর-রশিদ বলেন, গরমের তীব্রতার কারণে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েগেছ, তাই আমরা গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুৎ দিতে হিমশিম খাচ্ছি।
তিনি আরো জানান, উৎপাদন কম থাকায় রেশনিং পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে।
সাটুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা: মো: মামুন উর রশিদ বলেন, প্রচন্ড গরম থাকার কারণে বেশিরভাগ মানুষ ডায়রিয়া ও পানি শূন্যতায় ভুগছে এবং শিশুসহ ছোট বড় অনেকেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামাল দিতে হাসপাতাল প্রস্তুত রাখা হয়েছে।