সখীপুর উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নের সূরীরচালা আব্দুল হামিদ চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কফিল উদ্দিনের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিবাদে রোববার সকাল স্কুলের শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসীর আয়োজনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় প্রধান শিক্ষককে দ্রুত অপসারণ করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানায় তারা।
এর আগে প্রধান শিক্ষকের নানা অনিয়ম-দুনীতির অভিযোগে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কমকর্তা, জেলা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন ইউপি সদস্য রুহুল আমিন, স্কুল পরিচালনা কমিটির সদস্য মনজুরুল মোরশেদ, করিম হোসেন প্রমুখ।
মাবনবন্ধনে স্কুল পরিচালনা কমিটির সদস্য মনজুরুল ইসলাম বলেন, প্রধান শিক্ষক নিজের ইচ্ছামত স্কুল পরিচালনা করেন। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। নিয়ম বহির্ভূতভাবে নিজের স্ত্রীকে স্কুলে নিয়োগ দিয়েছেন। আমরা সদস্যরা মিলে কমিটির সভাপতি নির্বাচন করতে গেলে তিনি ও একাডেমিক সুপারভাইজারের মন মতো না হওয়ায় সেটি আমাদের না জানিয়ে স্থগিত করে গোপনে এডহক কমিটির করার জন্য আবেদন করে। প্রধান শিক্ষক নিজেই স্কুলে গাছ বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এর কোনো হিসাব দেয়নি। কোনো ক্লাস না দিয়ে নিজের মতো করে স্কুলে আসা-যাওয়া করেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই।
গ্রামবাসীরা জানান, প্রধান শিক্ষক বাচ্চাদের সঙ্গে অকারণে খারাপ আচরণ করেন। এসব অনিয়মের প্রতিবাদ করতে গেলে উল্টো হুমকি দেয়। এমন নোংরা মানসিকতার শিক্ষক আমরা চাই না।
স্কুলের একাধিক শিক্ষার্থীরা বলেন, হেড স্যার আমাদের সঙ্গে খুব খারাপ আচরণ করেন। একটু কিছু হলেই তিনি মারধর করেন এবং নোংরা ভাষায় গালিগালাজ করেন। স্যারের আচরণ ভালো না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষকরা জানান, প্রধান শিক্ষকের মতের বিরুদ্ধে গেলেই তিনি আমাদের নানাভাবে হয়রানি করেন। তাঁর ইচ্ছে মতোই চলে স্কুলের কার্যক্রম।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক কফিল উদ্দিন বলেন, আমার বিষয়ে যেসব অভিযোগ দেওয়া হয়েছে তা সত্য নয়।