ঢাকা ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফেরার পথে প্রাণ গেল চার বৃদ্ধ নারী-পুরুষের

চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফেরার পথে প্রাণ গেল চার বৃদ্ধ নারী-পুরুষের

কক্সবাজারের ঈদগাঁওতে বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। এদের মাঝে ঘটনাস্থলে দুজন আর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন আরো দুজন। নিহতদের মাঝে দুজন নারী আর দুজন পুরুষ। আর আশংকাজনক অবস্থায় চিকৎসাধীন রয়েছে আরো চারজন। সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঈদগাঁওয়ের খোদাইবাড়ি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, চট্টগ্রামের বাঁশখালীর রায়ছড়া ইউনিয়নের ইলশা এলাকার মনির আহমেদের স্ত্রী হাফসা বেগম (৫৮), একই এলাকার গোলাম সোবহানের ছেলে দুলা মিয়া (৬৫)। তারা ঘটনাস্থলে মারা যান। আর কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারাযান বাঁশখালী উপজেলার বাঘমারা এলাকার রফিক আহমেদ (৭০), অপর নিহত নারীর নাম জানাতে পারেননি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বা পুলিশ।

তাদের পাশাপাশি আরো চারজন কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

হতাহতরা চোখের চিকিৎসা করাতে গত শুক্রবার কক্সবাজার বায়তুশ শরফ চক্ষু হাসপাতালে এসে চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরছিলেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট সূত্র।

চকরিয়া মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশের দায়িত্বরত ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক মো. মোজাম্মেল হক জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঈদগাঁওর খোদাইবাড়ি এলাকায় যাত্রীবাহি বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই দু'নারী-পুরুষ মারা যান। খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশের একটি টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। তারা মরদেহ উদ্ধার ও দূর্ঘটনা কবলিত গাড়িগুলো জব্দ করে মালুমঘাট হাইওয়ে থানায় নিয়ে এসেছে।

কক্সবাজার বায়তুশ শরফ চক্ষু হাসপাতালের চিকিৎসা সহায়ক কর্মকর্তা নেছার আহমেদ জানান, বাঁশখালীর ২৬ জন রোগী চোখের চিকিৎসা শেষে সোমবার দুপুরে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। শুনেছি পথিমধ্যে ঈদগাঁও এলাকায় তারা দূর্ঘটনায় কবলিত হয়েছেন। খবর পেয়েছি চারজন মারাও গেছেন। আহতও হয়েছেন বেশ কয়জন। কিন্তু কারা মারা গেছেন তা নিশ্চিত নয়। আমাদের (চক্ষু হাসপাতালের) একটি টিম হতাহতের বিষয় নিয়ে কাজ করছে। তারাই সবিশেষ জানবে।

কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আশিকুর রহমান বলেন, ঈদগাঁওতে সড়ক দূর্ঘটনায় আহত ছয় নারী-পুরুষকে বেলা একটার পর হতে পৃথক সময়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে আনা হয়। এদের মাঝে এক নারী ও এক পুরুষ চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেলে মারা গেছেন। নিহতের মাঝে পুরুষটির নাম পাওয়া গেলেও বৃদ্ধা নারীর পরিচয় পাওয়া যায়নি। স্পটে মারা যাওয়াদের মরদেহ সন্ধ্যা পর্যন্ত সময়ে হাসপাতালে আনা হয়নি।

ঈদগাঁও থানার ওসি শুভ রঞ্জন চাকমা তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দুর্ঘটনার পর মহাসড়কের দু'পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। হাইওয়ে পুলিশের পাশাপাশি থানা পুলিশও ঘটনাস্থলে গিয়ে যান ও জন চলাচল নির্বিঘ্ন করতে কাজ করে। ঘটনাস্থলে দুজন মারা যান। আরো কয়েকজনের অবস্থা আশংকাজনক বলে জেনেছি। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। পুলিশকে সহযোগিতা করেন স্থানীয়রাও।

চিকিৎসা,প্রাণ
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত