ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

শাশুড়ির স্বর্ণ-অর্থ চুরি

জামিনে বেরিয়ে বাদীকে প্রাণনাশের হুমকি

জামিনে বেরিয়ে বাদীকে প্রাণনাশের হুমকি

শাশুড়ির বাসা থেকে স্বর্ণ ও নগদ অর্থ চুরি করার অভিযোগে দুইমাস কারাবাস থাকার পর জামিনে জেল থেকে বেরিয়েই শাশুড়িকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মেয়ে জামাইয়ের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় শাশুড়ি রাশেদা বেগম রংপুর মেট্রোপলিটন তাজহাট থানায় একটি জিডি করেছেন।

এছাড়াও রাশেদা বেগম বাদী হয়ে ছোট জামাই মো. আহসান হাবীব এবং মেয়ে মোছা. জান্নাতুল কাওছার জুথিকে আসামি করে রংপুরের বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাজহাট মেট্রো আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।

এ বিষয়ে তাজহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম বলেন, হুমকির ঘটনায় ভুক্তভোগী শাশুড়ি রাশেদা বেগম থানায় জিডি করেছেন। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জানা গেছে, গত ২ মার্চ রংপুর মহানগরীর মাহিগঞ্জ জেবিসেন রোড কানুনগোটলা এলাকার রাশেদা বেগমের নিজ বাসায় একটি চুরির ঘটনা ঘটে। চোররা স্বর্ণালংকার নগদ টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। চুরির ঘটনায় রাশেদা বেগম বাদী হয়ে সর্বমোট ২৪ লাখ ৪৬ হাজার টাকা দাবি করে রংপুর মেট্রোপলিটন তাজহাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়ের পর রাশেদা বেগমের ছোট মেয়ে জামাই আহসান হাবীব সুমনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রাশেদা বেগমের ছোট মেয়ে জামাই আহসান হাবীব সুমনকে তাজহাট থানা পুলিশ তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে।

সুমনকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় সুমনের মোবাইল ফোনের কল লিস্টে তালাচাবি মেকার ইউসুফ আলীর মোবাইল নম্বর পাওয়া যায়। এদিকে তালাচাবি মেকার আদালতে ১৬৪ ধারায় সুমনের বিপক্ষে জবানবন্দি দিয়েছেন। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সুমনকে কারাগারে পাঠানো হয়।

আহসান হাবীব সুমনের শাশুড়ি রাশেদা বেগম বলেন, সুমন একজন প্রকৃত চোর। একেক জায়গায় চুরি করার পর ধরা পড়ার আগেই বাসা পরিবর্তন করা তার অভ্যাস। এইচএসসি পাশ হলেও নিজেকে এমবিএ ডিগ্রিধারী পরিচয় দিতেন সুমন। যদিও এমবিএ ডিগ্রির সার্টিফিকেট তিনি পুলিশকে দেখাতে পারেননি।

সুমনের পরিবারের অন্য সদস্যরা জানিয়েছেন, অতীতে চাচি এবং ফুফুর বাসায়ও চুরির অভিযোগ আছে আহসান হাবীব সুমনের বিরুদ্ধে। নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তান হলেও তার চলাফেরা খুব আলিশান। তার ব্যবহার করা প্রাইভেট কারটি চুরি করা বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। এই গাড়ি কয়েক মাস আগে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ থানা পুলিশ আটক করেছিল। ওই সময় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে পুলিশকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগও আছে তার বিরুদ্ধে।

বর্তমানে এই মামলাটি তদন্ত করছে রংপুর মহানগর গেয়েন্দা পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সবুর জানিয়েছেন, চোরাই স্বর্ণ যাতে সুমন বিক্রি করতে না পারেন সেজন্য তারা তৎপর আছেন।

শাশুড়ি রাশেদা বেগম বলেন, কষ্টার্জিত নগদ অর্থ এবং স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে সুমন। আমার মেজো জামাই রেজাউল কবির রাসেলকে সাজানো মামলা দিয়ে প্রাণনাশের হুমকিসহ হয়রানি করছে সুমন।

তিনি আরও বলেন, আমি এবং আমার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমি এ ঘটনায় ন্যায় বিচার প্রার্থনা করছি। এ বিষয়ে অভিযুক্ত আহসান হাবীব সুমনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার নিযুক্ত উকিলের মতামত ছাড়া মন্তব্য করতে রাজি হননি।

জামিন,হুমকি
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত