চাঁদপুরে জেলেদের চাল বিতরনে অনিয়মের ঘটনায় জেলেদের সাথে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান বালু খেকো মো. সেলিম খানের সমর্থকদের সংঘর্ষে পুলিশসহ কমপক্ষে ২০জন আহত হয়। এ সংঘর্ষে পুলিশ ২৬ রাউন্ড গুলি নিক্ষেপ করে। এ ঘটনা মডেল থানার উপ পরিদর্শক মুকবুল হোসেনকে ঢাকা মেডিকেলে রেফার করা হয়েছে।
চাঁদপুর সদর উপজেলার ল²ীপুর মডেল ইউনিয়নে জেলেদের চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগে আলোচিত ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান বালু খেকো মো. সেলিম খানের সমর্থক ও জেলেদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘঠেছে। এতে জেলে, চেয়ারম্যান সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে পুলিশসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে।
শুক্রবার (৩ মে) সন্ধ্যার পর খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অর্ধশতাধিক পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনেন। এরপর ঘন্টাব্যাপী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে হামলার শিকার ও আহত হয় অসংখ্য পুলিশ। এর মধ্যে চাঁদপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মুকবুল হোসেনকে ঢাকায় রেফার করা হয়।
পুলিশ জানান, বিকেলে জেলেদের চাল বিতরণ সময় নিবন্ধিত জেলেরা চাল না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে বালু খেকো চেয়ারম্যান সেলিম খানকে ঘিরে রাখে। চেয়ারম্যান বহু চেষ্টা করে যেতে পারছিলনা। এ সময় চেয়ারম্যানের সমর্থক ও জেলেদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে হামলার শিকার হয়। এতে সদর মডেল থানার এসআই মুকবুল হোসেন, এএসআই কার্তিক চন্দ্র নাথ, কনস্টেবল মারুফ, আপেল, ফারুক ও জেলেসহ অন্তত ২০ জন মারাত্বক আহত হয়। আহতদের চাঁদপুর সরকারী জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মো: মুহসীন আলম বলেন, বন্ধের দিন ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম খান ইউনিয়ন পরিষদে জেলেদের চাল বিতরণ শুরু করেন। এক পর্যায়ে জেলেরা চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ এনে তাকে ঘিরে রাখে। ওই সময় তার লোকজনের সাথে জেলেদের সংঘর্ষ শুরু হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে গেলে উভয়ের ইটপাটকেল নিক্ষেপে পুলিশের বেশ কয়েকজন আহত হয়। উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ২৬ রাউন্ড গুলি নিক্ষেপ করে।
তিনি আরও বলেন, সকাল থেকে হামলাকারীদের আটক করার জন্য পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে। এই হামলার ঘটনায় মামলা কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন আছে।