নিষেধ অমান্য করে প্রেমিকের সাথে মোবাইলে কথা বলায় মেয়েকে (সুমী) খুন করেন মা। নেত্রকোণার পূর্বধলা উপজেলার বৈরাটি ইউনিয়নের দরুণ-বৈরাটি গ্রামের এই ঘটনা। খুনি মা’কে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, ২০২২ সালের ২২ আগস্ট দিবাগত রাতে পূর্বধলা উপজেলার দরুণ-বৈরাটি গ্রামের সুমী কাউছারকে (১৮) গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করে তার মা জোছনা বেগম। পরে জোছনা বেগম সুমী কাউছার বুক জ্বালাপুড়া করে ছটফট করে মারা যায় বলে প্রতিশেীদের জানায়। সকলেই বিশ্বাস করেন জোছনা বেগমের কথা। অভিযোগ না থাকায় থানায় অপমৃত্যূ মামলা রেকর্ড করা হয়। কিন্তু পুলিশের সন্দেহ থেকেই যায়। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায় পুলিশ। কয়েক মাস পর রিপোর্ট আসে। এতে সুমী কাউছারকে শ্বাস রোধে হত্যা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
এ ঘটনার পর পুলিশ বাদি হয়ে গত জানুয়ারী মাসের ১ তারিখ আসামি অজ্ঞাত উল্লেখে হত্যা মামলা রজু করে। গত ৫ মে সুমী কাউছারের মা জোছনা বেগমকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কৌশলী জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে মেয়েকে হত্যার কথা স্বীকার করেন জোছনা বেগম। পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
জোছনা বেগমের বরাতে পুলিশ আরো জানায়, সুমী এক ছেলের সঙ্গে গভীর রাত পর্যন্ত মোবাইল ফোনে কথা বলত। বাধা-নিষেধ করলে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ ও ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করত। তাকে অনেক শাসন করা হয়। কোনকিছুতেই কাজ হয়নি। ঘটনার দিন গভীর রাত পর্যন্ত সুমী মোবাইল ফোনে ওই ছেলের সঙ্গে কথা বলতে থাকে। নিষেধ করলে সে মা জোছনাকে মারধোর করে। এ জন্য ক্ষিপ্ত হয়ে সুমির গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ধরেন জোছনা।
পূর্বধলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, জোছনা বেগম আদালতে স্বীকারুক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।