দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের ডুগডুগি খাদ্য গুদামে ৩১৯ টন চাল আত্মসাৎ ঘটনায় তিনজনকে আসামী করে দুদকে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ঘোড়াঘাট উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ইউনুস আলী মন্ডল গতকাল মঙ্গলবার রাত্রে ঘোড়াঘাটের ডুগডুগি খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা (ওসি এলএসডি) আনোয়ারা বেগম, দারোয়ান মোঃ মফিজুল ইসলাম ও লেবার সদ্দার মোঃ শাহিনুর ইসলামকে আসামি করে ঘোড়াঘাট থানায় এজাহার দায়ের করেন।
এ বিষয়ে ঘোড়াঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসাদ জানান, সরকারি খাদ্য গুদামের চাল আত্মসাৎ করার কারণে তিনি এজাহারের অভিযোগটি দিনাজপুর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বরাবরে প্রেরণ করেছেন।
মামলা সূত্রে প্রকাশ, ছুটি না নিয়ে গত ২৫/০৪/২০২৪ ইং তারিখ থেকে খাদ্য গুদাম সিলগালা করে ডুগডুগি খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা (ওসি এলএসডি) আনোয়ারা বেগম, উধাও হয়ে গেলে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ইউনুস আলী মন্ডলের সন্দেহ হলে তিনি গত ১ মে ঘোড়াঘাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে বিষয়টি ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলামকে মৌখিকভাবে জানান এবং বিষয়টি দিনাজপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে অবগত করা হলে তিনি সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহন আহমেদকে আহবায়ক করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের আবেদনের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ ঘোড়াঘাট উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদুল হাসানকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগ দিলে তিনি ডুগডুগিহাট খাদ্য গুদাম এলএসডির দুটি গোডাউনে ৬ দিন ধরে তদন্ত করে সোমবার রাত সাড়ে ৯টায় তদন্ত কার্যক্রম শেষ করে মোট ৩১৯ মেট্রিক টন চালের কোন হদিস পাননি। চালের আনুমানিক মূল্য প্রায় ১ কোটি ৭১ লক্ষ টাকা বলে জানা গেছে।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আসামিরা পলাতক রয়েছে বলে ঘোড়াঘাট উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ইউনুস আলী মন্ডল নিশ্চিত করেছেন।
