ফেনীর সোনাগাজীতে সোমবারের কাল বৈশাখী ঝড়ের তিন দিনেও সচল হয়নি বিদ্যিৎ সংযোগ। এতে অন্ধকারে রাত কাটাচ্ছে প্রায় ১৫ হাজার গ্রাহক। ফ্রিজে রাখা মাছ মাংস নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ। গরমে হাঁফিয়ে ওঠেছে গ্রামীণ জনপদের মানুষগুলো।
ছোট খাটো কলকারখানাগুলো বন্ধ রয়েছে তিন দিন ধরে। হাট-বাজারগুলোতে দিনের আলো নিভে যাওয়ার পরপরও নেমে আসে শুনসান নিরবতা। গ্রামে বসবাসকারী অধিকাংশ লোকের মোবাইল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। পৌর শহরে বিভিন্ন বাসা-বাড়ি ও দোকান-পাটে মুঠোফোনগুলো চার্জ দিতে ভিড় জমাচ্ছেন গ্রামের মানুষগুলো। শিশু, বৃদ্ধ, নারীও চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। শতশত লোক স্থানীয় পল্লীবিদ্যুৎ অফিসগুলোতে অভিযোগ নিয়ে ভিড় করছেন। পৌর এলাকা ছাড়া উপজেলার নয়টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। পর্যায়ক্রমে সংযোগ সচল করতে গিয়ে বিদ্যুৎ কর্মীরা হিমশিম খাচ্ছেন।
সোনাগাজী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম বলাই মিত্র জানান, ২৪টি বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে গেছে। খুঁটিগুলো সচল করা সম্ভব হয়নি। ২৪৫টি স্পটে তার ছিঁড়ে গেছে। হেলে পড়েছে ২৮টি খুঁটি। ১২টি ট্রান্সফরমার নষ্ট ও ১১৫টি মিটার নষ্ট হয়ে গেছে। ৮-১০টি দল বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত হয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ সচল করতে মাঠে কাজ করছেন। সোনাগাজী সদর ইউনিয়নের সুজাপুর গ্রামের বাসিন্দা মিজানুর রহমান বলেন, তিন দিন ধরে বিদ্যুৎ না থাকায় ফ্রিজের সব খাবার নষ্ট হয়ে গেছে। গোসল সহ দৈনন্দিন কাজে বাড়ির বাসিন্দারা চরম দুর্ভোগে দিনাতিপাত করছেন।