সিরাজগঞ্জে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ 

সিরাজগঞ্জের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৩টি উপজেলার ৩৯০টি ভোটকেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্র সমূহে ভোট গণনা শুরু হয়েছে।

বেলকুচিতে একটি কেন্দ্রে ভোট কেনার সময় একজন ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার করা হয়েছে এবং একই এলাকার অপর এক ইউপি চেয়ারম্যানের প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়েছে। ৩টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৩টি উপজেলার কেন্দ্রসমূহে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এ ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপে সিরাজগঞ্জের বেলকুচি, কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কেন্দ্রসমূহে ভোটারদের উপস্থিতি সংখ্যা খুবই কম ছিল। কেন্দ্রের বাইরে ২/১ টি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটলেও কোন কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটেনি। তবে বেলকুচি উপজেলার ভাঙ্গবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম টাকা দিয়ে ভোট কেনার অভিযোগে টাকাসহ তাকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ। এছাড়া একই এলাকার রাজাপুর ইউপি চেয়ারম্যান সোনিয়া সবুর আকন্দের ব্যক্তিগত গাড়িটি জব্দ করেছে পুলিশ। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বেলকুচি থানার ওসি আনিসুর রহমান।

এ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এ উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ২৮৭৪৫২ জন এবং কেন্দ্র সংখ্যা ৯৭।

কাজিপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এ উপজেলায় এ উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ২৩৪৫৯৮ জন এবং ভোটকেন্দ্র সংখ্যা ১২২।

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এ উপজেলার মোট ভোটার সংখ্যা ৪৫৬২২২ জন এবং ভোট কেন্দ্র সংখ্যা ১৭১। কেন্দ্র সমূহে ভোটার উপস্থিতি কম থাকায় জনমনে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।

এ ৩টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র সমূহে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি ও আনসার মোতায়েনসহ স্টাইকিং ফোর্স দায়িত্ব পালন করেছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানানো হয়েছে।