রংপুর অঞ্চলে বোরো ধানের বাম্পার ফলন

প্রকাশ : ০৯ মে ২০২৪, ১৮:২৩ | অনলাইন সংস্করণ

  রংপুর ব্যুরো

নানা প্রতিকুলতার মধ্যেই রংপুর মহানগরীসহ জেলা ও এ অঞ্চলের ৫ জেলায় বোরো ধান চাষ করেছিলো কৃষকরা। এবার সেই ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রংপুর আঞ্চলিক কার্যালয় সূত্রে জানাগেছে, চলতি মৌসুমে রংপুর মহানগরীসহ জেলার আট উপজেলা এবং রংপুর অঞ্চলের ৫ জেলায় ৮ লাখ ৭ হাজার ৮৩৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এবার অনেকে স্থানে ধান কাটা—মাড়াই শুরু হয়েছে। অনেক কৃষক নিজের জমিতে চাষ হওয়া ধান বাড়িতে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তবে বিগত বছরগুলোতে অনেক কৃষকের ধান কাটতে স্বেচ্ছাশ্রমে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন এগিয়ে আসলেও এবার তার ব্যতিক্রম ঘটেছে। চলতি বছর স্বেচ্ছাশ্রমে ধান কেটে দিবে এমন কারও সহযোগিতা পাচ্ছেন না কৃষকরা। সেই সাথে বেড়েছে শ্রমিকের দাম। এর ফলে কৃষকদের মাঝে চরম হতাশা নেমে এসেছে।

সরেজমিনে রংপুর নগরীসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, ধান কাটা, মাড়াই, শুকানোসহ আনুষঙ্গিক কাজে কৃষক কৃষাণীসহ দিনমজুররাও ব্যস্ত সময় পার করছেন। কিছুদিনের মধ্যেই বোরো ধানের ফসলের হাসপাতা মাঠ ফাঁকা হয়ে যাবে। ধান উঠবে কৃষকের ঘরে। এবার বোরে ধানের বাম্পার ফলন হওয়ায় হাসি ফুটেছে কৃষকদের মুখে। তবে হতাশায় ফেলে শ্রমিকের মুজরি ও সংকট। এবার ধান কাটতে কৃষকের পাশে নেই কেউ।

মিঠাপুকুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: সাইফুল আবেদীন বলেন, আমি মাঠে খোঁজখবর নিয়েছি। বোরো ধান এবার ভালো ফলন হবে। মাঠ পর্যায়ে বোরো মৌসুমে ব্রি-ধান জিং সমৃদ্ধ ৭৪, ৮৪, বঙ্গবন্ধু ১০০। উচ্চ ফলনশীল ব্রি-ধান ২৮, ২৯, ৮৮, ৯২, ৯৬, ১০০, ১০২, ১০৩ ও বিআর ১৪। আউশ হিসেবে ব্রি-ধান ৯৮, ৮৫, ৮৭, বিনা ২০, ২১ চাষ হচ্ছে। বিরুপ আবহওয়ার কারণে সেচ বেশি লেগেছে, তবে নেক ব্লাস্ট, সীট ব্লাস্ট রোগ তেমন হয়নি। চাষিরা ধান কাটা ও মাড়াই শুরু করেছেন। ফলন ভালো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

রংপুর সদরসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার কয়েকজন কৃষক জানান, ধান ঘরে তোলার মুহূর্তে বৈরী আবহাওয়া ও বৃষ্টির খবরে তাদের উৎকণ্ঠা বেড়েছে। চলতি মৌসুমে অনুকূল আবহাওয়া থাকায় অন্যান্য বছরের চেড়ে বোরো আবাদ ভালো হয়েছে। কয়েক বছর থেকে অনেকে ধান কেটে দিতেন। সেই সময় তাদেরকে পাশে পেয়ে সহজেই প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে ধান রক্ষা করতে পেরেছেন। কিন্তু এবার কাউকে পাশে পাচ্ছেন না। সেই সাথে শ্রমিকের মুজুরি ও সংকট থাকায় তারা চরম হতাশায় পড়েছেন।

বৃহস্পতবিারকৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর রংপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মো: ওবায়দুর রহমান মন্ডল চলতি বছর রংপুর অঞ্চলে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কারণ হিসেবে তিনি বলেন আবহাওয়া অনুকুল ছিলো। তাছাড়া এ বার ধানের ব্র্যাস্ট রোগসহ অন্যান্য কোন ক্ষতিকারক কে ধানগাছ আক্রান্ত হয়নি। সার্বিক ভাবে বছর  ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এবার সারা দেশের ন্যায় রংপুর অঞ্চলেও তাপমাত্রা বেশি হলেও বোরো ও আউশ ধানের ফলন ভালো হবে। কৃষক ধানের দাম পাচ্ছেন।