মাদকদ্রব্য নিয়য়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চাঁদপুর জেলা কার্যালয়ে কর্মরত মাদক কেনাবেচায় জড়িত থাকায় অভিযুক্ত ৩ জনসহ ৪ জনকে একই সঙ্গে বদলি করা হয়েছে। একই অভিযোগে গেল বছর সেপ্টেম্বর মাসে তাৎক্ষনিক বদলি করা হয় উপ-পরিদর্শক পিয়ার হোসেনকে। বিভাগীয় তদন্ত শেষে ৬ মাসের ব্যবধানে বাকী ৩জনকেও চাঁদপুর থেকে অন্য জেলা বদলি করা হলো।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকালে ৪ জন কর্মকর্তা-কর্মচারি বদলির বিষয়টি নিশ্চিত করেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চাঁদপুর জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান।
তিনি বলেন, অফিস আদেশের প্রেক্ষিতে এই ৪ জন ৭ মে থেকে পরবর্তী তারিখে বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগদান করবেন। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় থেকে ৫ মে তাদের বদলির আদেশ করেন।
২০২৩ সালে বদলি হওয়া পরিদর্শক সেন্টু রঞ্জন দেবনাথ, উপ-পরিদর্শক মো. সাইফুল ইসলাম, উপ-পরিদর্শক পিয়ার হোসেন ও গাড়ী চালক ওমর ফারুক রাজনের বিরুদ্ধে মাদক কেনাবেচায় জড়িত এবং মাসিক টাকা আদায়ের অভিযোগ করেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের তথ্য প্রদানকারী রিপন ঢালী, মাদক বিক্রেতা দেওয়ান মো. শাহাদাত হোসেন ও মাদক বিক্রেতা শাহজাহানের স্ত্রী ইয়াছমিন আক্তার। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে দাপ্তরিকভাবে তাদের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর অতিরিক্ত মহাপরিচালক বরাবর অভিযোগ করেন তৎকালীন চাঁদপুর জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এর সহকারী পরিচালক এ কে এম দিদারুল আলম।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২৯ সেপ্টেম্বর চাঁদপুর থেকে বদলি করে দেয়া হয় উপ-পরিদর্শক পিয়ার হোসেনকে। এরপর এসব অভিযোগের তদন্ত করেন মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় কার্যালয়। অভিযুক্ত বাকী দুই কর্মকর্তা ও গাড়ী চালককে ৭ মাস পর বদলির আদেশ দেয় প্রধান কার্যালয়।
অভিযুক্ত সেন্টু রঞ্জন দেবনাথকে বদলি করা হয় সুনামগঞ্জ, মো. সাইফুল ইসলামকে বড়গুনা জেলায় এবং গাড়ী চালক ওমর ফারুক রাজনকে চট্টগ্রাম জেলায়। এছাড়া গাজীপুর জেলায় নিয়মিত বদলি হন সহকারী প্রসিকিউটর মো. আসাদুজ্জামান।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চাঁদপুর জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, বদলি প্রক্রিয়া এটি নিয়মিত কাজ। যার বাদলী হয়েছেন তারা ৭ মে থেকে পরবর্তী সময়ের মধ্যে বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগ দিবেন। একসঙ্গে ৪জন কর্মকর্তা-কর্মচারি বদলি হওয়ায় আমাদের সাময়িকভাবে কাজের অসুবিধা হবে। আবার নতুন কর্মকর্তা-কর্মচারী যোগদান করবেন। তবে চালকের পদটি এখন শূন্য।
অভিযুক্ত বদলি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের বিষয়ে তিনি বলেন, এসব কর্মকর্তাদের অভিযোগ বিষয়ে আমি অবগত। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এবং তার প্রেক্ষিতে বিভাগীয় তদন্ত হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে মামলা পর্যন্ত হওয়ার নিয়ম আছে।