দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ পত্রিকায় কক্সবাজারের রামুতে ওসির আশকারায় এসআই আল আমিনের নেতৃত্বে 'সিভিল টিম'। শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের জের ধরে কক্সবাজারের রামু থানার তিনজন উপপরিদর্শক সহ চারজনকে বদলি করা হয়েছে। এরা হলেন, উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল কাওসার, মো. আল আমিন, মুহাম্মদ ইমরান উদ্দিন ও কনস্টেবল মো. মাহমুদ (কং/৫৫৫)। বৃহস্পতিবার কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম বিপিএম, পিপিএম (বার) এর সাক্ষরিত এক আদেশে এই তথ্য জানা গেছে।
বদলির আদেশ মতে, রামু থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল কাওসারকে (পেকুয়া), মুহাম্মদ ইমরান উদ্দিনকে (সেন্টমার্টিন পুলিশ ফাঁড়ি), মো. আল আমিনকে (কুতুবদিয়া) ও কনস্টেবল মো. মাহমুদ (কং/৫৫৫)কে (সেন্টমার্টিন পুলিশ ফাঁড়ি)। এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকরী হবে বলে আদেশে উল্লেখ রয়েছে। এছাড়া পুলিশ সুপারের সাক্ষরিত আদেশটি চট্রগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি সহ ৯ জনকে অনুলিপি প্রেরন করা হয়েছে।
সূত্র মতে, দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজারের রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবু তাহের দেওয়ানের আশকারায় গড়ে উঠেছে উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল কাওসার ও মো. আল আমিনের নেতৃত্বে 'সিভিল টিম'। এই টিমের সব কিছুই দেখভাল করেন ওসির আস্তাভাজন এসআই মো. আল আমিন। এ ছাড়া এই টিমে রয়েছে উপ-উপ-পরিদর্শক (এসআই) মুহাম্মদ ইমরান উদ্দিন, মো. আহসান হাবীব (কং/ ১০৯৯), পিপল দেব (মুন্সী) (কং/ ৫৩৯), রাকিব হোসেন (কং/৩৮৬), মো. তৌহিদুল ইসলাম (কং১১৭৮), মো. মাহমুদ (কং/৫৫৫), মো. আবু বক্কর (কং/ ২৪৭৩)। তাদের ছত্রছায়ায় পুরো রামু উপজেলাজুড়ে চলছে নানা অপরাধ। এই সিভিল টিমের সহযোগিতায় রামুর বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে ইয়াবা, গরু, সিগারেট পাচার হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এমনকি রাতে মাটি পাচারেও সহযোগিতা করে আসছে এই সিভিল টিম। এছাড়া এই টিমের লোকজনের বিরুদ্ধে ইয়াবাসহ লোকজন ধরে থানায় এনে ছেড়ে দেয়া এবং জব্দকৃত ইয়াবাও বিক্রির অভিযোগ রয়েছে। ইতিমধ্যে এই টিমের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আল আমিনের বিরুদ্ধে ইয়াবা সংশ্লিষ্টার অভিযোগ এনে জেলা পুলিশের বিশেষ শাখায় কয়েকটি অভিযোগ জমা পড়েছে। তাদের এসব অনিয়ম নিয়ে বুধবার আলোকিত বাংলাদেশে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদে বদলিকৃত তিন এসআই ও এক কনস্টেবল সহ অনেকের নাম ছিল।
নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রামু থানা থেকে বদলিকৃত তিন উপ-পরিদর্শকসহ চারজনের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে অভ্যান্তরীন তদন্তও শুরু হয়েছে।