চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন পাইলট আসিম জাওয়াদ
প্রকাশ : ১০ মে ২০২৪, ২০:১২ | অনলাইন সংস্করণ
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় চির নিদ্রায় শায়িত হয়েছেন বিমান বাহিনীর পাইলট আসিম জাওয়াদ। শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে শহীদ মিরাজ-তপন স্টেডিয়ামে তৃতীয় জানাজা শেষে বিকেল ৩টায় শহরের সেওতা কবরস্থানে তার নানার কবরে তাকে দাফন করা হয়।
এর আগে দুপুর পৌনে ১২ টার দিকে তার মরদেহ বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের একটি হেলিকপ্টার মানিকগঞ্জ শহীদ মিরাজ-তপন স্টেডিয়ামে অবতরণ করে। বিমান বাহিনীর সদস্যরা হেলিকপ্টার থেকে তার কফিনবন্দি মরদেহ কাঁধে করে নামিয়ে আনেন। এরপর নিহত জাওয়াদকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। ছেলের কফিনবন্দি মরদেহ দেখে কান্নায় ভেঙে পরেন মা নিলুফা খানমসহ স্বজনরা। সেখানে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়।
নিহত পাইলট আসিম জাওয়াদ সাটুরিয়া উপজেলার বরাইদ ইউনিয়নের ধুলট গ্রামের ডা. আমান উল্লার ছেলে। তিনি মৃত্যুকালে স্ত্রী, ছয় বছরের কন্যা আইজা ও এক পুত্র সন্তান রেখে গেছেন।
উল্লেখ্যঃ গত বৃহস্পতিবার দুপুরে পতেঙ্গার বানৌজা ঈসা খাঁ হাসপাতালে (নেভি হাসপাতাল) চিকিৎসাধীন অবস্থায় পাইলট আসিম জাওয়াদ মারা যান। এর আগে ওই দিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ইয়াক-১৩০ নামের একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান চট্টগ্রামের পতেঙ্গা জহুরুল হক বিমান ঘাঁটি থেকে উড্ডয়ন করে। এর কিছুক্ষণ পরই বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয় এবং বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। পতেঙ্গা এলাকার কর্ণফুলী নদীতে বিমানটি বিধ্বস্ত হওযার আগেই বৈমানিক উইং কমান্ডার সোহান ও বৈমানিক স্কোয়াড্রন লিডার আসিম জাওয়াদ প্যারাস্যুট দিয়ে নদীতে নামেন। পরে তাদের উদ্ধার করে পতেঙ্গা নেভি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিমানের উইং কমান্ডার সোহান জহুরুল হক ঘাঁটির মেডিকেল স্কোয়াড্রনে চিকিৎসাধীন আছেন। অপরদিকে বিমান বিধ্বস্তর ঘটনায় বৈমানিক আসিম জাওয়াদ পতেঙ্গার নেভি হাসপাতাল চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর ১২টার দিকে মারা যান।