মাদারীপুরে মায়ের হত্যার বিচার দাবীতে সংবাদ সম্মেলন
প্রকাশ : ১৩ মে ২০২৪, ১২:৩৮ | অনলাইন সংস্করণ
মাদারীপুর প্রতিনিধি
মাদারীপুরে মা ঈশিতা আলীর হত্যা মামলার আসামীদের বিচার ও গ্রেফতারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেন নিহতের ১০ বছর বয়সী মেয়ে মরিয়ম এবং ৮ বছর বয়সী ছেলে রাইয়ান।
রবিবার (১২ মে) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবী করেছেন তারা।
সংবাদ সম্মেলন সূত্রে জানা যায়, মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর ইউনিয়নের সুচিয়ার ভাঙ্গা গ্রামের ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধু ঈশিতা আলী নির্যাতন করে হত্যা করে শ্বশুর বাড়ির লোকজন। পরে এই ঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলেও মামলা নেয়নি পুলিশ। পরবর্তীতে নিহতের ভাই সোহেল মাতুব্বর বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামী করে গত ২২ এপ্রিল মাদারীপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে একটি মামলা করে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামীদের রহস্যজনক কারনে গ্রেফতার করছেনা।
মামলা সূত্রে জানা যায়, মাদারীপুর সদর উপজেলার ঘটমাঝি ইউনিয়নের সিদ্দিকখোলা গ্রামের আইয়ুব আলী মাতুব্বরের মেয়ে ঈশিতা আলীর সঙ্গে ১২ বছর আগে বিয়ে হয় মস্তফাপুর ইউনিয়নের সুচিয়ারভাঙ্গা গ্রামের এনামুল ঢালীর। এর কয়েক বছর পর ভাসুর টুকু ঢালী, ভাসুরের স্ত্রী খাদিজা বেগমের সঙ্গে পারিবারিক কলহ শুরু হয় ঈশিতার। এর জেরে ২০ এপ্রিল টুকু ঢালীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন অন্তঃসত্ত্বা ঈশিতারকে নির্যাতন করে। রাতেই মারা যান আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা ঈশিতা।
ঈশিতার ভাই সোহেল মাতুব্বর বলেন, আমার বোনকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন নির্যাতন করে মেরে ফেরেছে। সেই ঘটনায় আমি মামলা করলেও পুলিশ আসামীদের ধরছে না। আমি এর বিচার চাই।
নিহতের আরেক ভাই সাব্বির বলেন, আমার বোনকে মেরে ফেলেছে। সেই ঘটনায় আমরা তানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। পরে আমরা আদালতে মামলা করি। এপরও পুলিশ আসামীদের ধরছে না। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামীদের কাছ থেকে অর্থিক সুবিধা নিয়ে আসামীদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে।
এসময় নিহতের মেয়ে মরিয়ম বলেন, আমার চাচা টুকু ঢালী আমার মাকে মারধর করেছে। পরে মা মারা গেছে। আমি এর বিচার চাই। একই দাবী করেন ছেলে রাইয়ান। তিনিও মায়ের হত্যাকারীদের বিচার দাবী করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মাদারীপুর সদর মডেল থানার এসআই হাসিব বলেন, নিরীহ মানুষ যাতে হয়রানির শিকার না হয় সে কারনে গ্রেফতার করা হচ্ছে না। মামলার স্বাক্ষ্য প্রমাণ সংগ্রহ করছি। দোষীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এসময় তিনি আসামীদের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, নিহতের ভাই সোহেল মাতুব্বর, সাব্বির মাতুব্বর এবং নিহতের ১০ বছর বয়সী মেয়ে মরিয়ম এবং ৮ বছর বয়সী ছেলে রাইয়ান।