নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা কোন অন্যায় হস্তক্ষেপ করবেন না : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী
প্রকাশ : ১৪ মে ২০২৪, ১৩:০০ | অনলাইন সংস্করণ
চাঁদপুর প্রতিনিধি
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি বলেছেন, এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দল থেকে কোন দলীয় প্রতীক, দলীয় মনোনয়ন কিংবা সমর্থন কাউকে দেয়া হয়নি। সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেয়া হয়েছে মন্ত্রী-এমপি যারা তারা এই নির্বাচন প্রক্রিয়ায় কোন অন্যায় হস্তক্ষেপ করবেন না। তারা কোন ধরণের প্রভাব বিস্তার করবেন না এই নির্দেশনাগুলো আছে।
সোমবার (১৩ মে) বিকেলে চাঁদপুর শহরের তিন নদীর মোহনা বড় স্টেশন মোলহেডে শহর সংরক্ষণ পুনর্বাসন প্রকল্প এর আওতায় নদীতীর প্রতিরক্ষাকাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আমরা যেটা আহবান থাকবে যারা নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন তারা সকলে প্রায় একই আদর্শের মানুষ। তারা দিন শেষে একই স্থানে। অর্থাৎ পরবর্তী কোন নির্বাচনে সকলে একই পক্ষের হয়ে কাজ করবে। কাজেই তারা কেউই যেন এমন কোন কাজ না করেন, যার জন্যে পরবর্তীতে একটি বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। তারা যেন একে অন্যের বিরুদ্ধে বিষদগার না করে।
দীপু মনি বলেন, নির্বাচনে প্রার্থীরা প্রত্যেকে নিজের যোগ্যতার কথা বলে ভোট চাইবেন। কোন নেতাকর্মীকে যেন তারা অন্যভাবে চাপ প্রয়োগ না করেন তাদের পক্ষে যাওয়ার জন্য। সবাই নির্বাচন করুক। স্বাধীনভাবে নির্বাচন করার অধিকার সবার আছে। তাদের প্রতি আমার অনুরোধ আমরা চাই একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, সুন্দর ও উৎসব মুখর নির্বাচন। আমি বিশ্বাস করে ২১ মে সেরকম একটি সুন্দর নির্বাচন হবে। জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কাছেও আমার চাওয়া একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। প্রশাসনও আমাকে জানিয়েছে তারা এই ধরণের নির্বাচন করার জন্য প্রস্তুত।
মন্ত্রী বলেন, আমার সম্মানিত ভোটারদের আশ^স্ত করতে চাই তারা উৎসব মুখর পরিবেশে এসে ভোট দিবেন। কোন চাপ প্রয়োগ ছাড়া আনন্দমুখর পরিবেশে ভোট দিবেন তাদের পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করবেন এটিই আমার প্রত্যাশা।
মন্ত্রী বলেন, এর আগেও চাঁদপুর থেকে হাইমচর নদী তীর সংরক্ষণের কাজ হয়েছে। ওই কাজটিও খুবই সুন্দর হয়েছে। কারণ তখন কাজ চলাকালীন জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা, অন্যান্য পেশার লোকজন এবং গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ কাজের মান দেখেছেন। কোথাও কাজের অনিয়ম হলে তা জানিয়েছেন। এবারও শহর সংরক্ষণ পুনর্বাসন কাজ শুরু হলে সেভাবেই কাজের তত্ত্বাবধান করা হবে।
এ সময় জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায়সহ সরকারি অন্যান্য দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।