মানিকগঞ্জে শিক্ষিকার অপসারণ চেয়ে ক্লাস বর্জন
প্রকাশ : ১৫ মে ২০২৪, ১৮:৪৩ | অনলাইন সংস্করণ
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
মানিকগঞ্জে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের সাথে দূর্ব্যবহারের অভিযোগে দ্বিতীয় দিনের মতো ক্লাশ বর্জন করে যাচ্ছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
সিংগাইর উপজেলার জামশা ইউনিয়নের গোলাইডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গত সোমবার থেকে শিশু শ্রেণির ক্লাস বর্জন করে আসছেন তারা।
জানা গেছে, শিশু শ্রেণির শিক্ষিকা আকলিমা আক্তার ক্লাসে এসেই অভিভাবকদের অপমানিত করে বের করে দেন। কয়েকজন অভিভাবক এ নিয়ে প্রতিবাদ করলে তাদের বিভিন্ন ধরনের কটুক্তি করেন। এছাড়া পাঠ্যবইয়ের একটি ছড়া ভুলভাবে পড়ানোর সময় অভিভাবকেরা বিষয়টি শুদ্ধ করতে বললে তাদের উপর চড়াও হয়ে উঠেন তিনি। এর জের ধরেই সোমবার থেকে ক্লাস বর্জন করে আসছেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থী তরু এবং তূর্ণার অভিভাবক রীমা সুলতানা বলেন, আকলিমা ম্যাডাম নতুন হওয়ায় ছোট বাচ্চারা তার ক্লাসে ভয় পায়। এজন্য আমরা অভিভাবকেরা পাশেই অপেক্ষা করি যাতে বাচ্চারা ভয় না পায়। ম্যাডাম আমাদের সেখান থেকে অপমানজনক কথা বলে বের করে দেয়।যতদিন আকলিমা ম্যাডাম ওই ক্লাসে থাকবে ততদিন আমার বাচ্চারা ক্লাসে যাবেনা। জাকিয়া আক্তার সুলতানার অভিভাবক তাসলিমা বলেন, বাচ্চারা তার কাছে পড়তে ভয় পায়। সে তাদের সাথে দূর্ব্যবহার করে। এটা বলাতে সে আমাদেরকে অপমানিত করে বের করে দিয়েছেন। শিক্ষকের পরিবর্তন না হলে আমরা ক্লাসে ছাত্র পাঠাবো না। আরেক অভিভাবক রিক্তা আক্তার বলেন, সে হাট্টিমাটিম টিম ছড়াটি ভুলভাবে পড়াচ্ছিল এটা শুদ্ধ করে পড়াতে বললে সে উল্টো আমাকে অপমান করে। সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি ওই শিক্ষকের পরিবর্তন না হলে আমরা কেউ ক্লাসে শিক্ষার্থী পাঠাবো না।
অভিযোগের বিষয়ে শিক্ষিকা আকলিমা আক্তার বলেন, আমি ক্লাসে গিয়ে দেখি সব অভিভাবক তাদের বাচ্চা কোলে নিয়ে বসে আছে। যার বাচ্চার কোন সমস্যা নাই সে অভিভাবককে বাহিরে যেতে বলি। এটা বলার পর থেকেই শুনলাম তারা ক্লাস বর্জন করেছে। ছড়াটি পড়াতে গিয়ে অনিচ্ছাকৃত ভুল হয়েছিল। পরে এক অভিভাবক বলাতে শুধরে নিয়েছি।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাঁশীনাথ মন্ডল বলেন, এ ঘটনার পর থেকেই অভিভাবক ও শিক্ষককে নিয়ে বসে সমাধানের চেষ্টা করে যাচ্ছি।
বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি মুকুল হোসেন বলেন, আমার সন্তানও শিশু শ্রেণিতে পড়ে। স্ত্রীর কাছে ওই শিক্ষিকার দূর্ব্যবহারের কথা শুনেছি প্রধান শিক্ষকও ওই শিক্ষিকার বিষয়ে অবগত করেছেন। প্রধান শিক্ষক সমাধানে ব্যর্থ হলে বিষয়টি নিয়ে আমাদের যা করনীয় আছে সেটা করবো।