দিনাজপুরে পূর্নভবা নদীর পানি শুকিয়ে যাওয়ায় বালুর চর ভেসে উঠেছে। আর এই নদীর মাঝখানের বালু ভেকু মেশিন দিয়ে দিনে ও রাতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও বিক্রয় করে, সরকারের কোটি কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতিসাধনের অভিযোগ উঠেছে।
গোসাইপুর পূর্নভবা নদীর খননের কাজ অনেক আগেই শেষ হয়েছে, খননকৃত বালুও অনেক আগেই বিক্রয় শেষ। সরকারিভাবে ইজারা না থাকা সত্বেও শুকিয়ে যাওয়া পূর্নভবা নদীর মাঝখানে কয়েক মাস ধরে দিনে ও রাতে (ভেকু) মেশিন দিয়ে কোটি কোটি টাকার বালু উত্তোলন করছেন একটি ক্ষমতাধর মহল।
দিনাজপুর জেলা প্রশাসক অফিস সূত্রে জানা গেছে, দিনাজপুর সদরে পূর্নভবা নদীতে বালু মহলের কোন ইজারা দেওয়া হয়নি। ট্রলিতে বালু পরিবহনকালে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ড্রাইভার জানান, অলিখিত ইজারাদার দিনাজপুর সুইহারি আশ্রমপাড়া এলাকার কফিল বসাক, স্থানীয় বিপদগামীদের সাথে নিয়ে অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকার বালু উত্তোলন করে বিক্রয় করছেন, শুধু তাই নয় দিনে বালু পরিবহনের জন্য ট্রলিতো রয়েছেই সেই সাথে রাত্রি বেলাতেও ড্রাম ট্রাক দিয়ে বালু বিক্রয় করছেন বিভিন্ন স্থানে।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, দিনাজপুর নির্বাহী প্রকৌশলী ফারুক আহম্মেদ জানান, নদী (ড্রেজিং) খননের কাজ করেছেন, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহণ কর্তৃপক্ষ। আমরা কোন (ড্রেজিং) খননের কাজ এবং ভেকু মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করাচ্ছি না। সরকারি অনুমতি ছাড়া নদীর বালু উত্তোলন অবৈধ, ভেকু মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন অবশ্যই দণ্ডনীয় অপরাধ। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বি.আই.ডাবলু.টি.এ) জানান, অনেক আগেই নিলামের মেয়াদ শেষ হযে গেছে। (ড্রেজিং) খননের বালু সরানো শেষ হয়েছে কিনা, শেষ হয়ে থাকলে, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন এবং ভেকু মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন দণ্ডনীয় অপরাধ। অবশ্যই তদন্ত পূর্বক তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।