এক ষাড়ের দাম ১৫ লাখ টাকা

সিরাজগঞ্জে ঈদকে সামনে রেখে জমজমাট পশুর হাট

প্রকাশ : ০৪ জুন ২০২৪, ১১:৩৩ | অনলাইন সংস্করণ

  স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ

আসন্ন ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে সিরাজগঞ্জে বিভিন্ন হাটে পশু কেনাবেচা শুরু হয়েছে। দাম বেশি হাকায় এখন এ  কেনাবেচা জমে উঠছে না। তবে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার নান্দিনা মধু গ্রামের ষাঁড় কালা মানিকের দাম হাকা হয়েছে ১৫ লাখ টাকা। এ ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড় দেখতে গ্রামের বাড়ি ভিড়ও জমে উঠছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ঈদুল আযহা যতই ঘনিয়ে আসছে ততই বাহারি বাহারি গরু হাট বাজারে উঠছে এবং খাদ্যর মূল্য বেশি বলে দামও হাকা হচ্ছে এবার অস্বাভাবিক। ওই গ্রামের ড. আলী আজম তালুকদারের ১৩০০ কেজি ওজনের বিশাল আকৃতির ষাঁড় কালা মানিকের দাম হাকা হয়েছে ১৫ লাখ টাকা এবং এ ষাঁড়ের পা থেকে মাথা পর্যন্ত গায়ের রং কুচকুচে কালো। এ কারণে তার নাম রাখা হয়েছে আদরের কালা মানিক।

ওই গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত আলী আজহার তালুকদারের ছেলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. আলী আজম তালুকদারের খামারে বেড়ে ওঠে এই ষাঁড় কালো মনিক। কালা মানিক কিনলে ফ্রিতে মিলবে কাঞ্চন নামের একটি খাসি। তিনি শখের বসে নিজ গ্রামের বাড়িতে গরুর খামার করেছেন। তার খামারে বর্তমানে ৯টি বিশাল আকৃতির ষাঁড় লালন পালন করা হচ্ছে।

ওই খামারে পরিচর্যার কাজে নিয়োজিত থাকা রাকিবুল ইসলাম বলেন, অন্যরকম আদর করে কালা মানিককে লালন-পালন করছি। দিনরাত এ খামার পরিচর্যাসহ দেখাশোনা করছি।

অধ্যাপক ড. আলী আজম তালুকদার সাংবাদিকদের বলেন, শখের বসে ২০১৫ সালে এ খামার করেছি। এখানে কোনো প্রকার ওষুধ ছাড়াই আমার নিজস্ব গবেষণা প্রক্রিয়ায় দানাদার খাদ্যগুলো পাউডার ফর্মে এনে এরপর ব্যাকটেরিয়া দিয়ে গাঁজানো প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ৬ থেকে ১২ ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে ষাঁড়গুলোকে খেতে দেওয়া হয়। সেইসাথে দেয়া হয় কাঁচা ঘাস ও সাইলেস।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মো. ফরহাদ হোসেন চৌধুরী বলেন, এ উপজেলার সবচেয়ে বড় ষাঁড় কালা মানিক। প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে এ ষাঁড় বড় করা করেছে এবং এ ষাঁড় দেখতেও কালা কুচকুচে। এ কারণে নাম রাখা হয়েছে কালা মানিক। কোরবানির পশুর হাটে এ কালা মানিক ভালো দামে বিক্রি করবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।