কোরবানির পশুর হাটে মৌসুমী ব্যাপারীরা হচ্ছেন ক্রেতা

প্রকাশ : ০৪ জুন ২০২৪, ১১:৩৯ | অনলাইন সংস্করণ

  চাঁদপুর প্রতিনিধি

দুই সপ্তাহও বাকি নেই পবিত্র ঈদুল আযহার। এরই মধ্যে কোরবানির পশুর হাট বসতে শুরু করেছে। তুলনামূলক ছোট-বড় সাইজের দেশিয় প্রজাতির গরু হাটে উঠেছে। তবে এই হাটে মৌসুমী ব্যাপারীরাই হচ্ছেন ক্রেতা। কারণ সাধারণ ক্রেতা আসলেও দরদাম করে চলে যাচ্ছেন। যে কারণে হতাশা ব্যক্ত করেছেন অনেক বিক্রেতা।

সোমবার (২ জুন) দুপুরে চাঁদপুর সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের সফরমালি কোরবানির পশুর হাট ঘুরে এবং ক্রেতা-বিক্রেতার সাথে কথা বলে এমনটিই জানাগেল।

জেলা সদর থেকে প্রায় ৬ কিলোমিটার উত্তরে সফরমালি পশুর হাট। সপ্তাহের প্রতি সোমবার নিয়মিত পশুর হাট মিলে। কিন্তু ঈদুল আযহা কেন্দ্রিক এটিই প্রথম বাজার। পুরো হাট জুড়েই দেখাগেল দেশি-বিদেশী হাজার হাজার ষাড়, বলদ ও গাভী। একই সাথে অনেক নিজেদের বাড়ীতে পালিত ছাগলে নিয়ে এসেছেন বিক্রির জন্য।

জেলার মতলব দক্ষিণ উপজেলা থেকে গরু কিনতে এসেছেন শহীদ উল্লাহ সরকার তার ব্যবসায়ী অংশীজন। তিনি বলেন, আজকে বাজারে অনেক গরু উঠেছে। দাম দেখছি। যদি দরদাম বনে তাহলে কিনব। বাজারে গরুর খাবারের দাম বেশী। যে কারণে খামারিরা দাম কিছুটা বেশি চাচ্ছে।

শাহরাস্তি থেকে সফরমালির হাটে গরুর দাম দেখতে এসেছেন মৌসুমী গরুর ব্যাপারী রবিউল তার কয়েকজন অংশীদার। রবিউল বলেন, পুরো হাট ঘুরে দেখলাম। দুই ব্যাপারীর দুটি করে ৪টি ষাড় পছন্দ হয়েছে। ৪টি ১ লাখ ৪ হাজার থেকে শুরু করে ১লাখ ১০ হাজার টাকা মূল্যে ক্রয় করেছি। এগুলো নিজ এলাকায় নিয়ে বিক্রি করা হবে।

শরীয়তপুর থেকে ৭টি দেশীয় জাতের গরু নিয়ে এসেছেন আব্দুর রহমান। তিনি বলেন, আজকে এই হাটে ক্রেতা খুবই কম। কিছু মৌসুমী ব্যবসায়ী এসেছেন। তারা দরদাম করে চলে যাচ্ছেন। আমার গরুগুলো ৪০ হাজার থেকে শুরু করে ১ লাখ টাকা মূল্যমানের।

মেঘনা নদীর পশ্চিমের চরাঞ্চল থেকে এসেছেন মো. রাকিবুল হাসান। তিনি বলেন, আমি নিজ বাড়ীতেই বেশ কয়েকটি ষাড় লালন পালন করে বিক্রির জন্য এনেছি। বাজারে ক্রেতা সংকট। পরের হাটে বিক্রি বাড়বে বলে আশা করছি।

সফরমালি পশুরু হাটের পরিচালক আজাদ খান বলেন, আজকে বাজারে অনেক গরু উঠেছে। আমরা ব্যবসায়ীদের সার্বিক নিরাপত্তা দিচ্ছি। আমাদের অনেক লোক ব্যবসায়ীদের যে কোন সমস্যায় পাশে আছেন।