ঢাকা ১১ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

চাঁদপুরের মেঘনা নদীর বালু উত্তোলন স্থগিত

সেই সেলিম খানের মেয়েকে জরিমানা ও জব্দকৃত টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে

সেই সেলিম খানের মেয়েকে জরিমানা ও জব্দকৃত টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে

চাঁদপুর নৌ-সীমানার মেঘনা নদীতে আদালতের আদেশ অমান্য করে সেই বিতর্কিত বালু খেকো, ক্যাসিনো সম্রাট ইসমাইল হোসেন সম্রাটের সহযোগি ও তার সহযোগী চেয়ারম্যান সেলিম খানের মেয়ের মেসার্স নিপা এন্টারপ্রাইজকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসন।

জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সিনিয়র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: হেদায়েত উল্লাহ্ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।

জরিমানার সময় অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি বালুর টাকার আংশবিশেষ তাঁদের কাছ থাকা নগদ ১১ লাখ ৭৮ হাজার টাকা ও ১টি স্পিডবোট জব্দ করে প্রশাসন। জব্দকৃত টাকা এবং জরিমানার অর্থ ২১ লাখ ৭৮ হাজার টাকা আজ মঙ্গলবার(৪জুন) রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে।

আদালতের আদেশ অমান্য করে বালু উত্তোলন করায় সোমবার শেষ বিকেলে চাঁদপুরে মেঘনা নদীতে অভিযান চালায় চাঁঁদপুরের জেলা প্রশাসন।

চাঁদপুরের মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলনকালে মেসার্স নিপা এন্টারপ্রাইজকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। জরিমানার তথ্য নিশ্চিত করেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান।

মেসার্স নিপা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী সেলিনা বেগম চাঁদপুরের ‘বালুখেকো’ চেয়ারম্যান হিসেবে পরিচিত ও বিতর্কিত ৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃসেলিম খানের মেয়ে।

জেলা প্রশাসক বলেন, সেলিম খানের মেয়ে সেলিনা বেগমের মেসার্স নিপা এন্টারপ্রাইজের লোকজন চাঁদপুর সদর উপজেলার চরজগন্নাথপুর, লগীমারা ও হানারচর, লগীমারা মৌজায় বালু উত্তোলন করছিল। এ সময় চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সিনিয়র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. হেদায়েত উল্লাহর নেতৃত্বে অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত ৫ জনকে আটক করে ১০ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে নগদ ১১ লাখ ৭৮ হাজার টাকা ও ১টি স্পিডবোট জব্দ করা হয়। পরে জব্দকৃত এবং জরিমানার অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করা হয়।

জেলা প্রশাসক আরও বলেন, এ অভিযানের সময় সেলিম খান বা তাঁর মেয়ে সেলিনা বেগমকে পাওয়া যায়নি। তাঁদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

এর আগে চাঁদপুর সদর উপজেলার তিনটি মৌজায় অবস্থিত মেঘনা নদী থেকে সেলিনা বেগমকে বালু উত্তোলনে বাধা দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হাইকোর্ট যে আদেশ দিয়েছিলেন, গত রোববার (২ জুন) তা’ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন।

রাষ্ট্রপক্ষের তথ্যানুসারে, চাঁদপুর সদর উপজেলার ১০ নম্বর ল²ীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সেলিম খানের মেয়ে সেলিনা বেগম। চাঁদপুর সদর উপজেলার চরজগন্নাথপুর, লগীমারা ও হানারচর লগীমারাএই তিন মৌজায় হাইড্রোগ্রাফিক জরিপের মাধ্যমে বালুমহাল হিসেবে ঘোষণার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে চলতি বছর একটি রিট করেন সেলিনা বেগম।

প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ১৬ জানুয়ারি হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন। পরবর্তী সময়ে রিট আবেদনকারীর করা এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২৪ এপ্রিল হাইকোর্ট নির্দেশসহ আদেশ দেন। আদেশে বালু উত্তোলনের জন্য হাইড্রোগ্রাফিক জরিপে উল্লেখিত এলাকাগুলো সেলিনা বেগমকে সাত দিনের মধ্যে বুঝিয়ে দিতে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডবিøউটিএ) চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেওয়া হয়। উল্লেখিত জায়গায় বালু উত্তোলনে বাধা দেওয়া থেকে বিরত থাকতে বিবাদীদের প্রতি অন্তবর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।

হাইকোর্টের এ আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে, যা রোববার চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য ওঠে। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান শুনানিতে ছিলেন।

জরিমানা,চাঁদপুর
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত