দিনাজপুরে খামারি মোবাইল অ্যাপের কার্যকারিতা ও কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত

প্রকাশ : ০৬ জুন ২০২৪, ১৪:২৫ | অনলাইন সংস্করণ

  বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

দিনাজপুর সদর উপজেলার কাশিপুর দাখিল মাদ্রাসা মাঠে বুধবার বিকেলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এবং কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের আয়োজনে "খামারি মোবাইল অ্যাপের কার্যকারিতা যাচাইয়ে উচ্চ ফলনশীল বোরো ধানের প্রদর্শনী এবং পানি সাশ্রয়ী সেচ প্রযুক্তি (এ ডব্লিউ ডি) প্রদর্শনী ট্রায়ালের ফসল কর্তন ও কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এ সকল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন  বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল এর নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার। অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর দিনাজপুর অঞ্চল দিনাজপুর এর অতিরিক্ত পরিচালক মোঃ হামিদুর রহমান এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ি ঢাকা এর পরিচালক সরেজমিন উইং মোঃ তাজুল ইসলাম পাটোয়ারী, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল এর সদস্য পরিচালক (শস্য) ড. মোঃ আব্দুস ছালাম, গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট এর মহাপরিচালক ড. গোলাম ফারুক।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ি দিনাজপুর এর উপ-পরিচালক মোঃ নুরুজ্জামান। এ সকল অনুষ্ঠান সার্বিক পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন দিনাজপুর সদর উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ আসাদুজ্জামান। দিনাজপুর সদর উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি অফিসার মোঃ মনিরুজ্জামান এর সঞ্চালনায় মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের মধ্য থেকে বক্তব্য রাখেন ফজলে রাব্বী।কৃষক সমাবেশের পূর্বে বোরো ধানের প্রদর্শনী এবং পানি সাশ্রয়ী সেচ প্রযুক্তি (এ ডব্লিউ ডি) প্রদর্শনী ট্রায়ালের ফসল কর্তন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠিত কৃষক সমাবেশের প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে খামারী মোবাইল অ্যাপের কার্যকারিতা সম্পর্কে কৃষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, এই অ্যাপ ব্যবহার করে ধান চাষের ব্যাপক সফলতা পাওয়া যায়, এই ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে ঘরে বসে কৃষকরা তাদের কৃষি জমিতে ধান চাষের জন্য পানি সাশ্রয়ী সেচ প্রযুক্তির ব্যাপক ধারণা নিয়ে স্বল্প সময়ে অধিক জমিতে সেচের পানি সরবরাহের মাধ্যমে অধিক ফসল ফলাতে সক্ষম হবে। কতখানি জমির মধ্যে কি পরিমান বীজ বপন করা যায় এ সকল বিষয় নিয়ে সকল তথ্য সুন্দর ভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে এই আ্যাপে। এই অ্যাপ ব্যবহারের মাধ্যমে অধিক পরিমাণ ফসল উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে, তাই প্রতিটি কৃষকের এই অ্যাপ ব্যবহারের মাধ্যমে অধিক ফসল উৎপাদন করে কৃষকরা লাভবান হতে পারবে।