ঢাকা ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ফেনীতে লামিয়া হত্যাকাণ্ডের চার মাসেও গ্রেফতার হয়নি হত্যাকারী 

ফেনীতে লামিয়া হত্যাকাণ্ডের চার মাসেও গ্রেফতার হয়নি হত্যাকারী 

ফেনীর পরশুরামের পৌর এলাকার বাসপদুযা গ্রামের উম্মে সালমা লামিয়ার (৭) নৃশংস হত্যাকান্ডের ৪ মাস পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত রহস্যের কুল কিনারা করতে পারেনি পুলিশ। হত্যার মুল রহস্য এখনো উন্মোচিত না হওয়ায় মূল হত্যাকারি হিসাবে কাউকে গ্রেফতারও করতে পারেনি পরশুরাম থানার পুলিশ।

হত্যার পরিকল্পনাকারী হিসাবে লামিয়ার মা জেলহাজতে রয়েছেন। হত্যা ঘটনার সময প্রাণে বেঁচে যাওয়া লামিয়ার বড় বোন ঘটনার একমাত্র প্রত্যাক্ষদর্শী ফাতেমা আক্তার নিহা (১২) এর দেয়া তথ্যে হত্যাকারী দুই যুবকও এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে।

শিশু লামিয়া হত্যার একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী বড় বোনের বর্ণনা অনুযায়ী হত্যাকারীদের ছবি (স্কেচ) এঁকে নিয়েছে পুলিশ। স্কেচটি ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন থানায় পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। শিশু লামিয়া হত্যাকারী সন্দেহভাজন দুই যুবকের স্কেচ এঁকে সনাক্তের চেষ্টা শিরোনামে জাতীয় গণমাধ্যমেও সংবাদ প্রকাশিত হলেও কোন অগ্রগতি পাওয়া যায়নি।

পরশুরাম থানার পুলিশ বলছেন মামলার রহস্য উন্মোচিত করতে পুলিশ দিনরাত কাজ করে যাচ্ছে। খুব শ্রীঘ্রই মুল রহস্য উন্মোচিত হবে বলে পুলিশ দাবি করছেন।

ঘটনার পর থেকে পুলিশ ছাড়াও একাধিক আইন প্রয়োগকারী সংস্থাও ঘটনার রহস্য উদঘাটন করতে ছায়া তদন্ত করেছে।

অপরদিকে হত্যা ঘটনায় পরিকল্পনার সাথে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে লামিয়ার মা আয়েশা আক্তারকে পুলিশ দুই দফা পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে আদালতে প্রেরণ করে।

মেয়ে লামিয়াকে হত্যা পরিকল্পনার অভিযোগে অভিযুক্ত মা আয়েশা চারমাস ধরে ফেনী কারাগারেই আছেন।

ফেনীর পরশুরামে নিহতের দেয়া তথ্য মতে গত ৬ ফেব্রুয়ারি বেলা দেড়টার দিকে হেলমেট পরা দুই যুবক নুরুন্নবীর ভাড়া বাসায় গিয়ে নিজেদের পল্লী বিদ্যুতের লোক দাবি করে ঘরে ঢুকে লামিয়ার হাত-মুখ-পা কসটেপ দিয়ে বেঁধে নৃশংসভাবে হত্যা করে। এ সময় তার বড় বোন ফাতেমা আক্তার নিহা (১২) পাশের ঘরে ঢুকে দরজা আটকে দিয়ে প্রাণে বেঁচে যায়।

ঘটনার পর পর নিহা পুলিশকে জানিয়েছিলেন লামিয়াকে যে দুই যুবক হত্যা করে তাদেরকে তিনি ইতোপুর্বে পরশুরামে ঘুরে বেড়াতে দেখেছেন।

ঘটনার দিন নিহত লামিয়ার বাবা মো. নুরুন্নবী বাদি হয়ে অজ্ঞাতদের আসামী করে পরশুরাম থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মঙ্গলবার দুপুরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য লামিয়ার মা আয়েশা ও সৎ মা রেহানা আক্তারকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ঘটনার পরদিন বুধবার ৭ ফেব্রুয়ারি পুলিশ রেহানাকে ছেড়ে দিয়ে মা আয়েশাকে জেলহাজেতে প্রেরণ করেন।

পুলিশের তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আবুল কাশেম মা আয়েশাকে ১১ফেব্রুয়ারি এবং ১৪ ফেব্রুয়ারি দুই দফা জিজ্ঞাসাবাদ করে আদালতে সোপর্দ করেন।

ফেনী,হত্যাকারী
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত