কাঞ্চন পৌর নির্বাচনে দুই মেয়র প্রার্থীকে ইসির শোকজ

প্রকাশ : ১১ জুন ২০২৪, ১১:১৮ | অনলাইন সংস্করণ

  নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে কাঞ্চন পৌরসভা নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্ধের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তা ও পুলিশের সামনেই দুই মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এসময় ভাঙচুর চালানো হয় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষের দরজা জানালা ও চেয়ার।

সোমবার বেলা ১১ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে এই মারামারির ঘটনা ঘটে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনায় উভয় মেয়র প্রার্থীকে শোকজ করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাচন কর্মকর্তা ইস্তাফিজুল হক আকন্দ।

সোমবার কাঞ্চন পৌরসভা নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্ধের দিন ধার্য্য করা হয়। সম্মেলন কক্ষে অবস্থান করছিলেন রিটার্নিং কর্মকর্তা কাজী ইস্তাফিজুল হক আকন্দ, উপজেলা নির্বাচন অফিসার তাজাল্লি ইসলাম, রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দীপক চন্দ্র সাহা।
প্রতীক বরাদ্দের আগে সম্মেলন কক্ষে প্রবেশ করে সামনের আসনের চেয়ারে বসা নিয়ে তর্ক শুরু হয় মেয়র প্রার্থী আবুল বাশার বাদশা ও রফিকুল ইসলামের। এক পর্যায়ে হাতাহাতি শুরু হলে তাদের অনুসারীরা জড়িয়ে পরে। এক পক্ষ অপর পক্ষের দিকে চেয়ার ছুড়ে মারে ও মারামারিতে জড়িয়ে যায়। উভয় পক্ষের লোকজন সম্মেলন কক্ষের দরজা, জানালার কাঁচ এবং চেয়ার ভাঙচুর করে। ভেঙ্গে ফেলা হয় প্রজেক্টরও। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

মেয়র প্রার্থী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘নিজেদের পরাজয় নিশ্চিত জেনে বহিরাগতদের এনে আমার ও আমার সমর্থকদের উপর হামলা চালানো হয়েছে। আমি চেয়ারে আগে বসেছিলাম, কিন্তু আমাকে উঠিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছে বাদশার লোকজন।’

অন্যদিকে আবুল বাশার বাদশা বলেন, ‘চেয়ারে বসা নিয়ে তর্ক বিতর্ক শুরু হয় কর্মীদের সাথে। তারা কাউকে বসতে দিচ্ছিলো না। গাঁয়ের জোড় দেখিয়ে হাতাহাতি শুরু করে। নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখার জন্য নির্বাচন কর্মকর্তাদের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি।’

এই বিষয়ে রিটানিং কর্মকর্তা ইস্তাফিজুল হক আকন্দ বলেন, অনাকাঙ্খিতভাবে একটি ঘটনা ঘটে গেছে। এজন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। উভয় মেয়র প্রার্থীকে শোকজ করা হয়েছে। কেন তাদের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণ ভঙ্গের দায়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে না তা ২৪ ঘন্টার মধ্যে লিখিত জবাব দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’