চাঁদপুরে এনআই এ্যক্টের পৃথক দুই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামী চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ সাগরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেন ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুল ইসলাম। তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে এনআই এ্যক্টের ৬ মাসের ও ১ বছর কারাদন্ড প্রাপ্ত দুটি ওয়ারেন্ট ছিল। ওই ওয়ারেন্টের ভিত্তিতে তাকে অভিযান চালিয়ে চাঁদপুর শহর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে তাকে চাঁদপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়। আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণ করে।
আদালত সূত্রে জানাগেছে, চাঁদপুরের চান্দ্রা শিক্ষিত বেকার যুব বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেড এর কাছ থেকে ডা. হারুনুর রশিদ সাগর ৩৬ কিস্তিতে ৩ বছর মেয়াদে ১ কোটি ৩৩ লাখ টাকা ঋন নেন। নির্ধারিত সময় ঋণ পরিশোধ করতে না পারায় এবং তার প্রদেয় চেক ব্যাংকে ডিজঅনার হওয়ায় আদালতে মামলা হয়। প্রতিষ্ঠানের পক্ষে মামলাটি করেন মো. নুরু মিয়া শেখ। মামলায় আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চাঁদপুরের যুগ্ম দায়রা জজ (প্রথম আদালত) এর বিচারক সাইয়েদ মাহবুবুল ইসলাম চলতি মাসের ৫ তারিখে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও মামলায় বর্ণিত চেকের ২ কোটি টাকার অর্থদন্ডে দন্ডিত করা হয়। ওই রায়ে উল্লেখ করা হয় অর্থদন্ডের টাকা অভিযোগকারী পাবেন।
এছাড়াও ডা. হারুনুর রশিদ সাগর চাঁদপুর শহরের গুনরাজদী এলাকার মো. শাহ আলম নামে ব্যাক্তির কাছ থেকে ব্যবসার নাম করে নগদ সাড়ে ১১ লাখ টাকা নেন। তার টাকা সঠিক সময়ে পরিশোধ না করায় ওই ব্যাক্তি এনআই এ্যাক্টের ১৩৮ ধারায় মামলা করেন। এই মামলায়ও চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি একই বিচারক আসামী ডা. হারুনুর রশিদ সাগর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ৬ মাসের বিনাশ্রম ও সাড়ে ১১ লাখ টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করেন। ওই রায়ে উল্লেখ করা হয় অর্থদন্ডের টাকা অভিযোগকারী পাবেন।
ডা. মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ সাগর চাঁদপুর শহরে অবস্থিত বেলভিউ হাসপাতালের পরিচালক এবং বিএমএ চাঁদপুরের সাবেক সভাপতি। তিনি ফরিদগঞ্জ উপজেলার বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নের মদনেরগাঁও গ্রামের ভুঁইয়া বাড়ীর মৃত মোহাম্মদ কলিম উল্লাহর ছেলে।