অতিরিক্ত ভাড়া আদায়

ঈদযাত্রা: চাঁদপুর লঞ্চঘাটে যাত্রীদের হয়রানির অভিযোগ!

প্রকাশ : ১৬ জুন ২০২৪, ০৮:৩০ | অনলাইন সংস্করণ

  চাঁদপুর প্রতিনিধি

চাঁদপুর-ঢাকার মধ্যে আরমাদায়ক ভ্রমণ হচ্ছে লঞ্চযোগে চলাচল। লঞ্চের মধ্যে কোন ধরণের হয়রানি না হলেও চাঁদপুর ঘাটে নেমে যাত্রীদের হয়রানির অভিযোগ দীর্ঘ দিনের। পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে ঢাকা থেকে আসা বেশ কিছু যাত্রী ঘাটের সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালকের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও হয়রানির অভিযোগ করেছেন। এসব বিষয়ে নৌ পুলিশ বহুবার ব্যবস্থা নিলেও কোন ধরণের নিয়ম মানছে না অটোচালকরা।

শনিবার (১৫ জুন) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত চাঁদপুর লঞ্চঘাটের ওপরে অটোরিকশা রাখার স্থানগুলোতে দেখাগেছে চালকদের হয়রানি। তারা যাত্রীদের সাথে থাকা মালপত্র নিয়ে টানাটানি করছে। বিশেষ করে বয়স্ক মানুষ ও নারীরা হয়রানির শিকার হন। কিছু সময় ঘাটে অবস্থান করে চালকদের আচরণের পরিবর্তন দেখাগেলো না।

লঞ্চঘাটের পন্টুনে গিয়ে দেখাগেল ঢাকা থেকে প্রায় ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর পর যাত্রী নিয়ে লঞ্চ ভীড়ছে এবং হাজার হাজার যাত্রী লঞ্চ থেকে নামছেন। এসব যাত্রীদের মধ্যে অধিকাংশ যাত্রী চাঁদপুর সদরের বাহিরের। লঞ্চ ভাড়া কম এবং ভ্রমন আরাম দায়ক হওয়ার কারণে শরীয়তপুর, লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালী জেলার অনেক যাত্রী এই ঘাট দিয়ে যাতায়াত করেন। ঘাটের ওপরে উঠলেই পড়েন বিড়ম্বনায়। অটোচালকদের টানাটানি।

ঢাকা থেকে আসা লঞ্চযাত্রী আরিফুল ইসলাম বলেন, তিনি ফরিদগঞ্জ যাবেন। চাঁদপুর থেকে ফরিদগঞ্জের ভাড়া ৭০ টাকা। কিন্তু তিনি ৩০০টাকা ভাড়া দিয়ে বাড়ীতে যেতে হয়েছে। এরপর হয়রানিত আছে। তার আত্মীয় আরেকজন থেকে ভাড়া নিয়েছে ২০০টাকা। অর্থাৎ যার কাছে থেকে যা নিতে পারে। কোন নিয়ন্ত্রণ নেই।

চাঁদপুর লঞ্চঘাটে থাকা বিআইডাব্লিউটিএর নৌ ট্রাফিক পরিদর্শক শাহ আলম বলেন, লঞ্চে যাত্রীরা যাতে কোন ধরনের হয়রানির শিকার না হয় এবং ভাড়া সঠিক রাখে সে জন্য কিছু সময় পর পর মাইকিং করে ঘোষণা দিচ্ছি। গত দুই দিনে কোন যাত্রী অভিযোগ দেয়নি। পর্যাপ্ত লঞ্চ রয়েছে যাত্রীদের জন্য।

কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশনের চীফ পেটি অফিসার মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, সকাল থেকেই কোস্টগার্ড চাঁদপুর লঞ্চঘাটের নিরাপত্তায় কাজ করছে। আমরা যাত্রীদের নিরাপদে বাড়ী পৌঁছানোর জন্য সার্বিক সহযোগিতা করছি।

চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, কোন যাত্রীর অভিযোগ থাকলে আমাদের অস্থায়ী কন্ট্রোল রুমে জানাতে পারে। আমরা তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নিব। কারণ ঈদ ছাড়াও আমরা যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য যেসব চালক যাত্রীদের হয়রানি করে তাদেরকে বহুবার আটক করে ব্যবস্থা নিয়েছি। আমরা ঘাটের বেশ কয়েকটি স্থানে পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্য রেখেছি। তারা ২৪ঘন্টা কাজ করছে।