মিয়ানমারের সীমান্তের ওপারে শুক্রবার সকাল থেকে আর কোনো বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শোনতে পাইনি কক্সবাজারের টেকনাফের সীমান্ত এলাকার লোকজন। একই সঙ্গে টানা ৩ দিন ধরে নাফনদী সীমান্তের ওপারে দেখতে পাওয়া ‘মিয়ানমারের জাহাজ’ও শনিবার সকাল দেখা যাচ্ছে না।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম জানিয়েছেন, শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে টেকনাফের নাফনদী ও বঙ্গোপসাগরের নাইক্ষ্যংদিয়া পয়েন্টে মিয়ানমারের অংশে জাহাজটি ছিল। এটি শনিবার সকাল থেকে আর দেখা যাচ্ছে না। রাতের যে কোন সময় এটি চলে গেছে। একই সঙ্গে শুক্রবার সকাল থেকে শনিবার দুপুর আড়াই টা পর্যন্ত সীমান্তের ওই পাড় থেকে কোন ধরনের বা বোমার ও গোলাগুলি শব্দ পাওয়া যায়নি ।
বুধবার দুপুর থেকে নাফনদীর টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মৌলভীপাড়ার বিপরীতে মিয়ানমারের নিকটবর্তী দেখা মিলে একটি বড় আকারের জাহাজ। এরপর বুধবার রাত ৯ টা থেকে এপারে ভেসে আসতে থাকে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ। যে শব্দ টানা ৩ ঘন্টার ধরে বিকট আকারে সীমান্তের লোকজন শোনেছেন। এরপর থেমে থেমে শব্দ শোনা গেছে রাতভর। বৃহস্পতিবার ভোর ৪ টা থেকে সকাল ৯ টা পর্যন্ত আবারও শোনা গেছে এই বিকট শব্দ। বৃহস্পতিবার সকালের পর সেই বড় জাহাজটি দক্ষিণ দিকে সরে গিয়ে বর্তমানে টেকনাফের নাফনদী ও বঙ্গোপসাগরের নাইক্ষ্যংদিয়া পয়েন্টে অবস্থান করতে দেখা যায়। সেই জাহাজ থেকে মিয়ানমারের স্থলভাগে থেমে থেমে গোলাগুলি ও মর্টার শেল বর্ষণের শব্দ অব্যাহত ছিল। শুক্রবার সকাল থেকে বিস্ফোরণের শব্দ বন্ধ হয়। আর শনিবার জাহাজটি দেখা যাচ্ছে না।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আদনান চৌধুরী জানিয়েছেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরের সংঘাত পর্যাবেক্ষণ করা হচ্ছে। সার্ভিস ট্রলারগুলো বিকল্প পথে সেন্টমার্টিন যাতায়াত করছে। পাঠানো হয়েছে খাদ্য পণ্যও।