ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

শোলাকিয়ায় লাখো মুসুল্লীর ঈদের নামাজ আদায়

শোলাকিয়ায় লাখো মুসুল্লীর ঈদের নামাজ আদায়

কিশোরগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠে লক্ষাধিক মুসুল্লিদের অংশগ্রহনে অনুষ্ঠিত হয়েছে ১৯৭ তম ঈদুল আজহার জামাত। প্রতিবছরের মতো কিশোরগঞ্জসহ আশেপাশের জেলার মুসুল্লিরা ঈদের জামাতে অংশ নেন। ঈদ জামাতকে ঘিরে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছিলো চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ছিল দূর-দূরান্ত থেকে আগত মুসুল্লিদের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নামাজের সকল সুযোগ সুবিধা।

সকাল নয়টায় ঈদের একমাত্র জামাত। ভোর থেকেই মুসুল্লিরা মাঠে আসতে শুরু করেন। সকাল আটটার মধ্যেই মাঠে জায়নামাজ বিছিয়ে বসেন মুসুল্লিরা।

প্রতি বছর ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করতে এভাবেই কিশোরগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠে আসেন স্থানীয় এবং দেশের বিভিন্ন জেলার মুসুল্লিরা। বংশ পরম্পরায় এ মাঠে নামাজ পড়েন অনেকেই।

কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ বলেন, ২০১৬ সালের ৭ জুলাই ঈদুল ফিতরের নামাজ চলাকালীন শোলাকিয়া ঈদগাহের কাছে পুলিশের একটি নিরাপত্তা চৌকিতে জঙ্গিদের অতর্কিত হামলায় দুই পুলিশ সদস্য সহ নিহত হয় চার জন। সেই থেকে ঈদের জামাতে বাড়তি নিরাপত্তার উপর জোর দেয় আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী। শুধু মাঠ নয়, পুরো জেলা শহরই ছিলো নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা।

জেলা প্রশাসক আবুল কালাম আজাদ বলেন, বরাবরের মতো দূর-দূরান্তের মুসুল্লিদের সুবিধার্থে ময়মনসিংহ ও ভৈরব থেকে শোলাকিয়া স্পেশাল নামে দুটি বিশেষ ট্রেন চলাচল করেছে। ১৯৭তম ঈদুল আজহার নামাজের ইমামতি করেন জেলা শহরের মার্কাজ মসজিদের ইমাম হিফজুর রহমান খান।

জনশ্রুতি আছে, ১৮২৮ সালে প্রথম ঈদুল ফিতরের বড় জামাতে এ মাঠে প্রথম সোয়ালাখ মুসল্লি একসঙ্গে ঈদের নামাজ আদায় করেন। সেই থেকে এ মাঠের নাম হয় “সোয়ালাখিয়া”। পরবর্তীতে যা শোলাকিয়া নামে পরিচিতি পায়।

কিশোরগঞ্জ
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত