ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর গত কয়েকদিনের টানা ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার প্রধানতম নদী দুধকুমারের পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে নদী অববাহিকার চর ও ডুবোচরে পানি ঢুকে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ভাঙ্গন আতঙ্কে দিন পার করছেন নদী পাড়ের বাসিন্দারা।
পানি বৃদ্ধির ফলে এসব নদীর তীরবর্তী নিচু অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। চরাঞ্চলে পানি ওঠার ফলে পানি বন্দি হয়ে পড়েছে এসব চরাঞ্চলের বাসিন্দারা। পানিতে তলিয়ে গেছে এসব চরের শাক-সবজি ও পাটের আবাদ।
দুধকুমার নদীর অববাহিকার পাইকেরছড়া ইউনিয়নের ছিটপাইকের ছড়া ও পাইক ডাঙ্গা, সোনাহাট ইউনিয়নের চরবলদিয়া, চর শতিপুরি, তিলাই ইউনিয়নের চরতিলাই, খোচা বাড়ির চর, চর- ভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নের ইসলামপুর ও আন্ধারিঝাড় ইউনিয়নের চরধাউরারখুটিসহ বেশকিছু চরাঞ্চল তলিয়ে গেছে। এখানকার প্রায় ৩ শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এসব এলাকার পাট, শাকসবজির আবাদ পানিতে তলিয়ে গেছে।
ভূরুঙ্গামারী উপজেলার পাইকেরছড়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম হ্যাপি জানান, গত তিনদিন থেকে ইউনিয়নটির পাইকডাঙ্গা ও ছিট পাইকের ছড়া গ্রামের শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে আছে।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় ১৬২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী কয়েকদিন জেলায় বজ্রসহ ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে।
কুড়িগ্রাম পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান জানান, উজানে ও দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টার ভিতরে জেলার সবগুলো নদ-নদীর পানি দ্রুত বাড়তে পারে। এতে করে স্বল্পমেয়াদী মেয়াদী বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম ফেরদৌস জানান, জেলা প্রশাসন থেকে বন্যার জরুরী ত্রাণ সহায়তা পাওয়া গেছে। ইউপি চেয়ারম্যানগণকে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা দিতে বলা হয়েছে। বন্যা হলে তা মোকাবেলায় উপজেলা প্রশাসনের পূর্ণ প্রস্তুতি রয়েছে।