মিয়ানমারে সংঘাত 

থামছে না সীমান্তের ওপারে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ 

প্রকাশ : ২০ জুন ২০২৪, ২০:০০ | অনলাইন সংস্করণ

  স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার

মিয়ানমারের রাখাইনে চলমান সংঘাতের জেরে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ আর যেন থামছে না। মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া বিস্ফোরণের বিকট শব্দ থেমে থেমে অব্যাহত রয়েছে বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত।

টেকনাফ সীমান্তের মানুষ জানিয়েছেন, রাখােইন রাজ্যের মংডুতে মটার শেলের বিস্ফোরণের শব্দে কাঁপছে সীমান্ত এলাকা। মংডু টাউনশিপের আশপাশের কাদিরবিল, মংনিপাড়া ও সুদাপাড়া গ্রাম থেকে মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩ টার( এ প্রতিবেদন লিখা) র্পযন্ত থেমে থেমে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শুনতে পেয়েছেন।

সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর হোসেন বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু টাউনশিফের বিপরীতে সাবরাং এলাকা। এখানকার লোকজন রাতে শান্তিতে ঘুমাতে পারছে না। মিয়ানমারের মংডুটাউন থেকে কিছুক্ষণ পর থেমে থেমে বিকট বিস্ফোরণের শব্দ ভেসে আসছে। এতে করে এলাকার ঘরবাড়ি কেঁপে উঠছে এবং  ভূমিকম্পের মতো করে কেঁপে উঠছে। বিকট শব্দে ঘুম থেকে ছেলে-মেয়েরা ভয় পেয়ে কেঁদে উঠছে। বিস্ফোরণের শব্দে সাবরাংসহ পুরো টেকনাফ কেঁপে ওঠে।এতে এলাকাবাসী আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।

টেকনাফ পৌরসভার প্যানেল মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন, মঙ্গলবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার বিকেল পযন্ত টানা মিয়ানমারের ওপারের বিস্ফোরণে এপারের (বাংলাদেশের) নাইট্যংপাড়া, চৌধুরীপাড়া, জালিয়াপাড়া, কায়ুকখালীয়পাড়া, পল্লানপাড়া, কুলালপাড়া, খানকার ডেইলসহ কয়েকটি এলাকা কেঁপে ওঠে। ধারণা করা হচ্ছে, এবার হামলা হচ্ছে, মংডু টাউনশিফের কাদিরবিল, মংনিপাড়া ও সুদাপাড়া এলাকায়।ওপারের বিকট শব্দ মনের হচ্ছে এপারের বাড়িঘরের উপর এসে পড়ছে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, ঈদেরদিন কোনোধরনের শব্দ পাওয়া যায়নি। শান্ত ছিল সীমান্ত এলাকা। মঙ্গলবার থেকে আবারও নাফ নদীর তীরে টেকনাফ পৌরসভা, সদর ও সাবরাং এলাকার বাসিন্দারা কিছুক্ষণ পর থেমে থেমে বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পাচ্ছে। এতে করে স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কগ্রস্থ।

তিনি বলেন, বিকট শব্দ পাওয়া যাচ্ছে মিয়ানমারের ওপার থেকে। এতে করে পুরো টেকনাফ কেঁপে উঠছে। রাখাইনে বিস্ফোরণের ঘটনায় টেকনাফ সীমান্তের প্রতিটি গ্রামে বিশেষ নজর রাখা হয়েছে। বর্তমানে সীমান্ত এলাকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, রাখাইনের পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যাতে কোনো ধরনের অনুপ্রবেশ করতে না পারে সেজন্য  নাফ নদী ও সীমান্তে বিজিবির টহল বাড়ানো হয়েছে।