পাঁচ বছর ধরে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত শিক্ষক

প্রকাশ : ২৩ জুন ২০২৪, ২০:০২ | অনলাইন সংস্করণ

  ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই অনুমতি ছাড়াই বিদেশে স্বামীর সাথে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে। সেই শিক্ষকের নাম মাহফুজা খাতুন। তিনি উপজেলার তিলাই ইউনিয়নের দক্ষিণ তিলাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিক।

সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির অভিযোগ বিষয়টি শিক্ষা অফিসে মৌখিকভাবে একাধিকবার বলা হলেও কোন কাজ হয়নি। অপরদিকে কতৃপক্ষ বলছেন বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেয়া হবে।

ভূরুঙ্গামারী উপজেলার শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দক্ষিণ তিলাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মাহফুজা খাতুন ২০১৯ সাল থেকে তার স্বামী সন্তান নিয়ে মরক্কোতে অবস্থান করছেন। তিনি ২০১৯ সালের ১৫ জুন থেকে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত রয়েছেন। 
নির্ভরযোগ্য একটি সূত্রমতে মাহফুজা খাতুনের স্বামী আব্দুল আজিজ সরকারি চাকুরীর সুবাদে তিনি মরোক্বতে কর্মরত আছেন। স্বামীর সাথে শিক্ষিকা মাহফুজা খাতুন দীর্ঘদিন থেকেই সেখানেই আছেন।

দক্ষিণ তিলাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি  আব্দুস সামাদ প্রামাণিক ও বর্তমান সভাপতি খয়বর আলী বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক পাঁচ বছর যাবৎ অনুপস্থিত। তার স্বামী সরকারি  চাকুরীর কারনে মরোক্বতে কর্মরত থাকায় ওই শিক্ষিকা স্বামীর সাথে সেখানেই অবস্থান করছেন বলে জানতে পেরেছি।

বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে মৌখিকভাবে অসংখ্য বার বলার পরেও কোন কাজ হয়নি। পদ ধরে রাখার জন্য অন্য কোন শিক্ষকও এই বিদ্যালয়ে বদলি হয়ে আসতে পারছেন না। শিক্ষক সংকটের কারণে বিদ্যালয়ে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। 

দক্ষিণ তিলাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (চ:দা:) আমিনুল ইসলাম বলেন,সহকারি শিক্ষক মাহফুজা খাতুন ২০১৯ সালে মাতৃত্বকালীন ছুটি নিয়েছিল। এরপর একই বছর বিদেশ গমনের জন্য ৪৫ দিনের ছুটি নেয়। সেই থেকে তিনি বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে। তবে সে বেতন পাচ্ছে না কিনা এবং তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে কিনা আমি অফিসয়াল ভাবে জানিনা।

এ বিষয়ে দক্ষিণ তিলাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা মাহফুজা খাতুনের সাথে তার ম্যাসেনজারে একাধিকবার ম্যাসেজ দিলেও তিনি ম্যাসেজ দেখলেও কোন জবাব দেননি।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নবেজ উদ্দিন সরকার বলেন, সহকারি শিক্ষক মাহফুজা খাতুনের অনুপস্থিতির দিন থেকে বেতন বন্ধ আছে এবং তকে চাকুরিচ্যুত্ব করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে।