কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন মোল্লা সুমন, তার বড় ভাই মোল্লা বাবুল ও ভাগ্নে নাজমুল হোসেন হীরার বিরুদ্ধে পর্নগ্রাফি আইনে আদালতে মামলা করেছেন এক নারী।
আজ রবিবার (২৩ জুন) কিশোরগঞ্জ সদর আদালত নং-১ এ মামলাটি দায়ের করেন ঐ নারী। পরে, ঐ আদালতের আমলগ্রহণকারী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্যাট আশিকুর রহমান কিশোরগঞ্জ মডেল থানার পুলিশকে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, মামলার বাদি পক্ষের আইনজীবী জসিম উদিন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১৫ মার্চ জেলা ছাত্রলীগ সভাপতির ভাগ্নে ভুক্তভুগী ঐ নারীর এক বান্ধরীর বাসায় তার সাথে বিয়ের প্রলোভনে শারীরীর সম্পর্ক করে। এসময় তা মোবাইল ফোনে ভিডিও করে রাখে।
পরবর্তীতে, এ ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে অভিযুক্ত তিনজন কয়েকলক্ষ টাকা, মোটরসাইকেল ও দামি মোবাইল ফোন আদায় করে ঐ নারীর কাছ থেকে।
ইদানিং এ নগ্ন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে মামলা করেন ভুক্তভূগী নারী।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন মোল্লা সুমন বলেন, এ ঘটনায় আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। একটি মহল রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় আমার এবং আমার বড় ভাইয়ের বিরুদ্ধে এসব অপতৎপরতায় লিপ্ত হয়েছে। আমি যতটুকু যানি আমার ভাগ্নে ঐ নারীকে বিয়ে করেছিলো।
কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা বলেন, আদালতের নির্দেশের কপি এখনো হাতে পাইনি। কপি পেলে নির্দেশ অনুযায়ী আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।