ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বিচার প্রার্থীদের জন্য ন্যায়কুঞ্জু স্থাপন

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বিচার প্রার্থীদের জন্য ন্যায়কুঞ্জু স্থাপন

প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বিচার প্রার্থীদের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধির জন্য সিরাজগঞ্জে আদালত প্রাঙ্গণে ন্যায়কুঞ্জু স্থাপন করা হয়েছে। এখানে বিচার প্রার্থীরা বসাসহ সবধরণের সুযোগ সবিধা পাবে এবং বাদী বিবাদী উভয়ই ন্যায় বিচারের আশাবাদী।

সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালত চত্বরে সোমবার দুপুরে ন্যায়কুঞ্জু উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, এ ন্যায়কুঞ্জে পুরুষ-মহিলাদের জন্য পৃথক ল্যাট্রিন সুবিধা রয়েছে এবং তাদের শিশুকে পৃথক রুমে দুধ পান করাতে পারবে। এতে বিচার প্রার্থীদের কষ্ট লাঘব করবে। তারা দ্রæত বিচার পাবে এবং মামলার জটও কমবে। বিচারকরাও মামলা দ্রুত নিস্পত্তি করতে পারবে। এজন্য বিচারকদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

উদ্বোধনী শেষে প্রধান বিচারপতি সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময় সভায় তিনি বলেন, আদালতে আগত বিচারপ্রার্থীদের আধুনিক নাগরিক সুবিধা সম্বলিত নিরাপদ অবস্থান নিশ্চিতের লক্ষ্যে প্রত্যেক জেলা ও দায়রা জজ আদালত চত্বরে ন্যায়কুঞ্জু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে অনেক জেলায় ন্যায়কুঞ্জু উদ্বোধন করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় আনুষ্ঠানিকভাবে সিরাজগঞ্জের ন্যায়কুঞ্জের উদ্বোধন করা হয়।

এ সময় হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার (সিনিয়র জেলা জজ) মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান, সিরাজগঞ্জের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এম আলী আহমেদ, আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার (জেলা জজ) মোহাম্মদ সাইফুর রহমান, জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মাদ মাহবুবুর রহমান, পুলিশ সুপার আরিফুল রহমান মন্ডল, পিপি আব্দুর রহমান এবং সিরাজগঞ্জ বিচার বিভাগের বিভিন্ন পদমর্যাদার বিচারকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এরআগে প্রধান বিচারপতি তাঁর সফরসঙ্গী নিয়ে সার্কিট হাউজে আগমন করলে সিরাজগঞ্জ বিচার বিভাগের পক্ষ থেকে বিজ্ঞ সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ তাদেরকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।

এ সময় পুলিশ বিভাগের একটি চৌকস দল প্রধান বিচারপতিকে গার্ড অফ অনার প্রদান করেন। উল্লেখ্য, গত ৯ জুন ২০২৩ তারিখ হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি নাইমা হায়দার এ ন্যায়কুঞ্জের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। এক হাজার বর্গফুট আয়তনের এ ভবনে বিচার প্রার্থীদের বসার ব্যবস্থাসহ ব্রেস্ট ফিডিং কর্ণার, পুরুষ ও মহিলাদের জন্য আলাদা টয়লেট এবং দোকানের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

সিরাজগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগের তত্বাবধানে ৫৩ কোটি ২২ লাখ টাকা ডিপিপি মূল্যের এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ৫২ কোটি ৩৪ লাখ টাকা ব্যয় করা হয়েছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মুক্তা কনস্ট্রাকশন লিঃ এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে।

সিরাজগঞ্জ
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত