গাজীপুরের শ্রীপুরে মাওনা উত্তরপাড়া গ্র্রামে বহুতল ভবনের ৩য় তলার একটি কক্ষ থেকে গৃহবধূকে হত্যার পর চিরকুট লিখে ফ্ল্যাটের ভেতর মরদেহ ফেলে পালিয়ে যাওয়ার প্রায় ছয় ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
গত বুধবার রাত প্রায় সাড়ে ৮টার দিকে র্যাব -১ ও র্যাব-১৪ জামালপুর সদর উপজেলার ফৌজদারী মোড় এলাকায় যৌথ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুরে র্যাব -১-এর গাজীপুর পোড়াবাড়ী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর জুন্নুরাইন বিন আলম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গ্রেপ্তার আল আমিন (২৪) টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার কালাই গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে।
গ্রেপ্তারের পর র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আল আমিন তার স্ত্রী মীম আক্তারকে (১৮) পারিবারিক কলহের জেরে গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন বলে স্বীকার করেছেন।
নিহত মীম আক্তার সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার ছোটবেড়া খারুয়া গ্রামের ইউসুফ খানের মেয়ে।
মীম আক্তারকে হত্যার পর আল আমিন তার মায়ের উদ্দেশ্যে ওই চিরকুট লিখে ফ্ল্যাটের বাইরে থেকে তালা দিয়ে পালিয়ে যান। চিরকুটের একটি অংশে লেখা ছিল, ‘নিজে একাই মইরা যাইতাম, কিন্তু এরে যদি বাঁচাইয়া রাইখা যাই এ আরো অনেক মানুষের জীবন নষ্ট করবো, তাই মাইরা ফেললাম।’
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বুধবার রাতে মীম আক্তারের বাবা ইউসুফ খান বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় মামলা করেন।
র্যাবের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ওই ঘটনার পর র্যাব -১-এর গাজীপুর পোড়াবাড়ী ক্যাম্পের একটি দল ছায়া তদন্ত শুরু করেন।
পরে হত্যায় অভিযুক্ত আল আমিনের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে তারাসহ (র্যাব ১) র্যাব -১৪ জামালপুর সদর উপজেলার ফৌজদারী মোড় এলাকায় অভিযান চালান। সেখান থেকে বুধবার রাত প্রায় সাড়ে ৮টার দিকে তারা আল আমিনকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তারের পর তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আল আমিন পারিবারিক কলহের জেরে গলায় রশি পেঁচিয়ে মীম আক্তারকে হত্যা করেছেন বলে স্বীকার করেন।
শ্রীপুর থানার ওসি আকবর আলী খান জানান, ঘটনার পর ওইদিন রাতেই মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ৬ ঘন্টার মধ্যে আসামীও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরবর্তী আইনী পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।