সিরাজগঞ্জে মডেল মসজিদ নির্মান কাজ বন্ধ, দরপত্র আহ্ববানের নির্দেশ

প্রকাশ : ২৭ জুন ২০২৪, ১৯:৫১ | অনলাইন সংস্করণ

  স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার নির্মাণাধীন মডেল মসজিদের কাজ দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। এ নিয়ে স্থানীয় মুসুল্লিদের মধ্যে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। তবে উর্ধতন কর্তৃপক্ষ এ কাজ বতিল করে বাকি কাজ করার জন্য পুনরায় দরপত্র আহবানের নির্দেশ দিয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, উক্ত মসজিদের কাজে আর্থিক ক্ষতির কারণ দেখিয়ে এ নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তবে গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের অবেদনে এ কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়। উল্লাপাড়া পৌর টার্মিনাল সংলগ্ন বগুড়া-নগড়বাড়ি মহাসড়কের পাশে মডেল মসজিদ ও ইসলামিক শিক্ষা সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। ২০১৯ সালের জুন মাসের প্রথম দিকে গণপূর্ত বিভাগের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ফার্স্ট এস এস কনস্ট্রাকশন প্রাইভেট লিঃ। ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রায় পৌনে ১২ কোটি টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয়। ২০২২ সালের এপ্রিলের শেষ দিকে ওই মডেল মসজিদ ও ইসলামিক শিক্ষা সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করে নির্মান কাজ শুরু করা হয় এবং এ কাজ তদারকি ও বাস্তবায়নের দায়িত্বে দেয়া হয় স্থানীয় গণপূর্ত বিভাগকে।

এ প্রকল্প নির্মানে নানা অনিয়মের অভিযোগে জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান ২০২৩ সালের মার্চ মাসের শেষ দিকে স্থানীয় সরকার (ডিডিএলজি) উপপরিচালক মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেনকে প্রধান করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় । এ কমিটি তদন্ত শেষে ওই নির্মাণাধীন মডেল মসজিদের ২৫ টি পিলার ভেঙ্গে ফেলার নির্দেশ দেয়া হয়।

এ নির্দেশে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ওই পিলার ভেঙ্গে আবারো পিলার নির্মান করে। এ কারণে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ক্ষতি হয় । অবশ্য ওই মসজিদ নির্মাণ কাজ  অনেক এগিয়ে রয়েছে। প্রায় দেড় মাস হলো এ নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের একজন নাইডগার্ড ছাড়া আর কিছু নেই।

এ বিষয়ে গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মাহমাদুল হাসান সাংবাদিকদের বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আর্থিক ক্ষতি দেখিয়ে লিখিত আবেদন করেছেন। এ আবেদন বিধিমতে উর্ধ্বতন কতৃপক্ষ বরাবর পাঠানো হয়েছে এবং উর্ধতন কর্তৃপক্ষ এ কাজ বতিল করে বাকি কাজ করার জন্য পুনরায় দরপত্র আহবানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার সানজিদা সুলতানা আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, উপজেলা বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি হিসেবে আমাকে এ বিষয়ে জানানো হয়নি। তবে শুনেছি মসজিদের কাজ এখন বন্ধ রয়েছে।