পাবনার ঈশ্বরদীতে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে পাঁচ বন্ধু নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও দুজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) রাত ৯টার দিকে ঈশ্বরদী উপজেলার পাবনা-ঈশ্বরদী মহাসড়কের দাশুড়িয়া সুগার মিলের সামনে এ দুর্ঘটনা।
নিহতরা হলেন- উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের আজমনগর গ্রামের রেজাউল হোসেনের ছেলে জিহাদ, কবির আনোয়ারের ছেলে বিজয়, ইলিয়াস হোসেনের ছেলে শিশির, মাসুম হোসেনের ছেলে সিফাত ও ভাড়ইমারী গ্রামের ওয়াজ আলীর ছেলে শাওন।
আহতরা হলেন- একই গ্রামের জেটুর ছেলে শাহেদ ও সুমন আলীর ছেলে নাঈম(২৩), শিশির (১৯) জিহাদ (২০) ও সিফাত (২০)।
পাকশী হাইওয়ে থানার ওসি বেলাল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে।
তিনি জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ফায়ার সার্ভিস ও ডিফেন্স স্টেশনের সদস্যদের সহযোগিতায় ঘটনাস্থল থেকে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আহত অবস্থায় চারজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠালে তাদের মধ্যে আরও দুজন মারা যায়।
নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, নিহতের মধ্যে বিজয় হোসেন ঢাকার একটি ব্যক্তি মালিকানাধীন কোম্পানির প্রাইভেটকার চালাতেন। ছুটিতে নিজ গ্রামের বাড়িতে বেড়ানোর উদ্দেশে গিয়ে সেই গাড়িতে আরও ছয় বন্ধুকে নিয়ে ঘুরতে বের হয়। উল্লিখিত সময়ে দাশুড়িয়া-পাবনা মহাসড়কের পাবনা সুগার মিলের সামনে পৌঁছালে প্রাইভেটকারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি গাছের সঙ্গে সজোরে ধাক্কা লাগে। এ সময় প্রাইভেটকারটি দুমড়ে মুচড়ে গেলে ঘটনাস্থলেই গাড়িতে থাকা জিহাদ, বিজয় ও শিশির নামে তিন বন্ধু নিহত হন।
এ সময় আহত অবস্থায় চারজনকে উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিফাত ও শাওনের মৃত্যু হয়। শাহেদ ও নাঈম নামে আরও দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা.শামীম।