বিভিন্ন স্থানে তীব্র ভাঙ্গন শুরু
যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত, নিম্নাঞ্চল বন্যাকবলিত
প্রকাশ : ০৫ জুলাই ২০২৪, ১৭:৪৮ | অনলাইন সংস্করণ
স্টাফ রিপোর্টার,সিরাজগঞ্জ
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও বর্ষণে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় যমুনায় ৩৫ সেঃ মিটার পানি বাড়ছে এবং বর্তমানে যমুনার পানি পেয়ে বিপদসীমার ১২ সেঃ মিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে যমুনার তীরবর্তী নি¤œাঞ্চল বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে এবং নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এতে স্বল্পমেয়াদী বন্যার আশংকা করা হচ্ছে। যমুনার তীরবর্তী বিভিন্ন স্থানে তীব্র ভাঙ্গনও শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই ৫ শতাধিক বাড়িঘর গাছপালা ও জায়গা জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, কয়েকদিন ধরে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও দফায় দফায় বর্ষণে যমুনার পানি হু হু করে বাড়ছে। সেইসাথে নদী তীরবর্তী চৌহালী, বেলকুচি, শাহজাদপুর, কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে।
ইতিমধ্যেই ৫ শতাধিক ঘরবাড়ি, গাছপালা ও জায়গা জমি নদী গর্ভে বিলিন হয়েছে। এছাড়া যমুনার শাখা নদীসহ বিভিন্ন খাল বিলে পানি প্রবেশ শুরু করেছে এবং অনেক কাঁচা পাকা সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। বিশেষ করে শাহজাদপুর, কাজিপুর ও চৌহালী উপজেলার এই পরিস্থিতির অবনতির সৃষ্টি হচ্ছে এবং যমুনার তীরবর্তী ওই ৫টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গনে বহু পরিবার দিশেহারা হয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে শাহজাদপুর উপজেলার নির্বাহী অফিসার মো. কামরুজ্জামান জানান, এ উপজেলার জালালপুর ও কৈজুরী ইউনিয়নের হাঁটপাচিলসহ বিভিন্ন স্থানে ভাঙন শুরু হয়েছে এবং নি¤œাঞ্চল বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। বৃহস্প্রতিবার বিকেলে জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেছেন এবং তিনি ভাঙ্গন ও বন্যা কবলিত মানুষের সহযোগীতায় নজর রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন। স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান বলেন, যমুনা নদীর বিভিন্ন স্থানে ভাঙন রোধে জিওটিউব ডাম্পিং শুরু করেছি। এছাড়া পাউবোর ড্রেজার দিয়ে চ্যানেলটিকে প্রশস্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে এবং নদীর গতিপথ পরিবর্তনের জন্য খনন কাজ চলছে। তবে আরো ৪/৫ দিন পানি বাড়বেত পারে এবং স্বল্প মেয়াদী বন্যার আশংকা রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।