পাহাড়ি ঢল ও বর্ষণে যমুনার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় সিরাজগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি অবনতির আশংকা করা হচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় যমুনায় ৪০ সেন্টিমিটার পানি বাড়ছে এবং বর্তমানে যমুনার পানি পেয়ে বিপদসীমার ৫৮ সেঃ মিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে যমুনার তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল বন্যা কবলিত হয়েছে এবং নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। নিম্নাঞ্চলের বহু পরিবার এখন পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, প্রায় দেড় সপ্তাহ ধরে পাহাড়ি ঢল ও বর্ষণে যমুনার পানি দ্রুত বাড়ছে এবং নিম্নাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন ঘটেছে। নদীর তীরবর্তী বেলকুচি, শাহজাদপুর, চৌহালী, কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই ভাঙ্গন এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে এবং বহু পরিবার ভাঙ্গন ও বন্যায় মানবেতর জীবন যাপন করছে।
এছাড়া যমুনার শাখা নদীসহ বিভিন্ন খাল বিলে পানিতে টইটুভুর হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে শাহজাদপুর, কাজিপুর ও চৌহালী উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি অবনতির সৃষ্টি হচ্ছে এবং যমুনার তীরবর্তী ওই ৫টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বহু পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে এবং নিম্নাঞ্চলের ফসলি জমি পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে এবং তিল কাউন পাটসহ বিভিন্ন ফসল ডুবে গেছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আক্তারুজ্জামান বলেন, যমুনা নদীর তীরবর্তী ৫টি উপজেলার নি¤œাঞ্চলের প্রায় দেড় হাজার পরিবার এখন পানিবন্দি । স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান বলেন, যমুনার পানি এখন বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে এবং বিভিন্ন স্থানে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। তবে আরো কয়েকদিন পানি বাড়তে পারে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরণের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তবে এখনও বন্যা পরিস্থিতি অবনতি ঘটেনি।
শুকনা খাবারসহ ত্রাণ সামগ্রী মজুদ রাখা হয়েছে এবং এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।