টঙ্গীবাড়ীতে প্রকাশ্যে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে গুলি করে হত্যা 

প্রকাশ : ০৭ জুলাই ২০২৪, ১৮:০৪ | অনলাইন সংস্করণ

  মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি

মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার পাঁচগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এইচ এম সুমন হালদারকে (৪৫) স্থানীয় প্রতিপক্ষকরা গুলি করে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার (৬ জুলাই) উপজেলার পাচগাঁও ইউনিয়নের আলহাজ্ব ওয়াহেদ আলী দেওয়ান উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন চলাকালিন সময়ে দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে পাচগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান সুমন হালদারকে প্রকাশ্যে দিবালোকে গুলি করে একই এলাকার মুকবুল হালদারের পুত্র নুর মোহাম্মদ(৩৫), নুর আহমেদ (৩২)।

রোববার দুপুর ২টার সময় টঙ্গীবাড়ী উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু ঘটে।

তার মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এ ঘটনায় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

জানা যায়, এইচ এম সুমন হালদার পাঁচগাঁও ইউনিয়ন পরিষদে নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এখানে তার নির্বাচনকে ঘিরে পরাজিত পাঁচগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিলেনুর রহমান মিলনের সমর্থকরা ক্ষুব্ধ ছিল। এ ঘটনায় এইচ এম সুমন হালদারকে গুলি করে হত্যা করে। এ ঘটনার পরপরই নুর মোহাম্মদ এলাকা থেকে গা ঢাকা দিয়েছে। নূর মোহাম্মদের কাছে অবৈধ অস্ত্র ছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা দাবি করছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, মিলেনুর রহমান মিলনের চাচাতো ভাই মকবুল হালদারের পুত্র নূর মোহাম্মদ প্রকাশ্যে দিবালোকে স্কুল চত্বর এলাকায় স্থানীয় স্কুল কমিটির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এখানে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

এলাকাবাসী জানান, টঙ্গীবাড়ী উপজেলার পাঁচগাঁও ওয়াহেদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের গুলিতে তার মৃত্যু হয়। পাঁচগাঁও ওয়াহেদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে মনিরুজ্জামান মনু ও মিলেনুর রহমান মিলন প্রতিদ্বন্ধিতা করেন। সেখানে মনিরুজামান মনু ৮ ভোট পায়। আর মিলেনুর রহমান মিলন ভোট পান ২টি।

এবিষয়ে টঙ্গীবাড়ী থানা অফিসার ইনচার্জ মোল্লা শোয়েব আলী বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঘটনাস্থল থেকে ৩ জনকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। মূল আসামীরা পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেফতার করতে অভিযান চলছে।